সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুরে লাগাতার অশান্তির জেরে জোট ভাঙার হুমকি দিল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (National People’s Party) বা এনপিপি। এদিকে কুকি-জো জনগোষ্ঠীর সংগঠনের টুইটার হ্যান্ডল ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর! জাতিহিংসায় অশান্ত রাজ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়া রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। মণিপুর সরকার এবং কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘কন্ঠরোধের’র অভিযোগ তুলেছে জনজাতি সংগঠনটি।
মণিপুরে নিভতেই চাইছে না অশান্তির আগুন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সংরক্ষণের দাবি ও তার বিরোধিতা নিয়ে জনজাতিগুলির মধ্যে সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াক্তা ও চূড়াচাঁদপুরের কাংভিতে নতুন করে হিংসা ছড়ায় উত্তর-পূর্বের রাজ্যে। শনিবার ভোর পর্যন্ত সেই অশান্তি চলার কথা জানা গিয়েছে পুলিশ ও সেনা সূত্রে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মধ্যরাত পর্যন্ত অসম রাইফেলস ও পুলিশের যৌথবাহিনীকে উপদ্রুত এলাকায় টহল দিতে হয়। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা পুলিশের অস্ত্রাগারে ভাঙচুর চালিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘কংগ্রেসের হাতের পুতুল’, এবার কুস্তিগিরদের তীব্র আক্রমণ ববিতা ফোগাটের]
এদিকে রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিরোধী দলগুলির তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) হস্তক্ষেপের দাবি করেছে। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, এতখানি অশান্তির পরেও নীরব কেন মোদি। অন্যদিকে, অন্যদিকে লাগাতার অশান্তির জেরে জোট ভাঙার হুমকি দিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (National People’s Party) বা এনপিপি। এর মধ্যেই কুকি-জো জনগোষ্ঠীদের সংগঠন ইনডিজেনাস ট্রাইবাল লিডার্স ফোরামর (ITLF) টুইটার হ্যান্ডেল ‘ব্লক’ হওয়ায় আগুনে ঘি পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের রামের নামে হিংসা যোগীরাজ্যে, ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মুসলিম যুবককে বেধড়ক মার!]
মণিপুরে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে কুকিদের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করেছে সংগঠনটি। সংগঠনের সেই টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করায় ক্ষুব্ধ জনজাতিগোষ্ঠী। প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এর বিরোধিতা করেছে সংগঠনটি। সেখানে বলা হয়েছে, কুকি জনগোষ্ঠীর দাবিদাওয়াকে চাপা দিতেই এই পদক্ষেপ। এমনকী মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে, মণিপুর সরকার মেইতেই জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে অগ্রধিকার দিচ্ছে।