shono
Advertisement

টুইটারের পরীক্ষায় জাতীয় রাজনীতিতে মমতার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে

নেতাদের অ্যাকাউন্টে সাফাই অভিযান চালায় টুইটার। ফলাফল চমকে দেওয়ার মতো।
Posted: 08:08 AM Jul 16, 2018Updated: 08:38 AM Jul 16, 2018

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নতুন নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক ভুয়ো ফলোয়ার অ্যাকাউন্ট ‘সাফাই অভিযানে’ নেমে টুইটার আবিষ্কার করল এ দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে পছন্দের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। অর্থাৎ, এদেশের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে জনপ্রিয়তার তালিকায় ফের সেরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

বিশ্বের সমস্ত বড় রাজনৈতিক ব্যক্তির মতোই এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর অ্যাকাউন্টেও সাফাই অভিযান চালায় টুইটার। ফলাফল চমকে দেওয়ার মতো। টুইটার যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে ভুয়ো ফলোয়ার অ্যাকাউন্ট বা অনুসরণকারী ভুয়ো অ্যাকাউন্ট প্রায় প্রত্যেকেরই রয়েছে। দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করছে এমন অসংখ্য ভুয়ো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তার মধ্যে একদিনে ৩ লক্ষ ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ছেঁটে ফেলল টুইটার!

গত মার্চ মাস থেকে এই সমীক্ষা চালাচ্ছে টুইটার। সাফাই করতে নেমে সবচেয়ে কম খাটতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টের জন্য। তাঁকে অনুসরণ করছেন এমন ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার ৩৩টি। মোদির ফলোয়ারদের মধ্যে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট যেখানে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৪৬, সেখানে পিএমও বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ভুয়ো ফলোয়ার অ্যাকাউন্ট ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৩৫টি। রাহুল গান্ধীর ১৭ হাজার ৫০৩টি। উল্লেখযোগ্যভাবে শশী থারুরের ছিল ১ লক্ষ ৫১ হাজার ৫০৯টি। সুষমা স্বরাজের ৭৪ হাজার ১৩২টি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ৯১ হাজার ৫৫৫টি। অমিত শাহর ৩৩ হাজার ৩৬৩টি। এই সব ভুয়ো ফলোয়ার অ্যাকাউন্ট একদিনে সরিয়ে ফেলেছে টুইটার।

[গো-হত্যা রুখতে ব্যর্থ, নিজের বিরুদ্ধেই এফআইআর করলেন পুলিশকর্মী]

ঘটনাচক্রে আজ, সোমবারই রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মমতার সঙ্গে তাঁর বিরোধিতা তুঙ্গে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদির সামনে সবচেয়ে বড় ‘চ্যালেঞ্জার’ এখন মমতা। অথচ, যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি, সেই সোশ্যাল মিডিয়ার সাফাই অভিযানই বড় ধাক্কা দিল প্রধানমন্ত্রীকে। যাকে হাতিয়ার করে আজ মোদির সফরের দিনেই বিরোধিতার পারদ চড়াচ্ছে তৃণমূল শিবির। দলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা, দলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলছেন, “আমরা খবরটা দেখেছি। এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। এটাই স্বাভাবিক ট্রেন্ড। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মানুষ বেশি পছন্দ করেন।” তাঁর কথায়, “দেশের একজনই জননেত্রী। টুইটার ও ফেসবুকে যাঁরা তাঁকে অনুসরণ করেন, তাঁদের প্রত্যেকের অস্তিত্ব আছে।” এই ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি ডেরেক। বলেছেন, “বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। তারা ফলোয়ার ‘কেনে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তৃণমূল কংগ্রেস সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের স্বতঃপ্রণোদিত সমর্থন নিয়েই বেড়ে উঠেছে।”

 

[ডিজেল চুরির অভিযোগে ৩ আদিবাসীকে নগ্ন করে মার, পলাতক অভিযুক্তরা]

এই সূত্রে ২০১৬ সালের নোট বাতিলের প্রসঙ্গ টেনেছে এ রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। ৮ নভেম্বর রাতে নোটবাতিল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পরদিনই এক ধাক্কায় সোয়া তিন লক্ষ ফলোয়ার হারান তিনি। সেই সিদ্ধান্তের প্রথম বিরোধিতা করেছিলেন মমতা। লাফিয়ে চড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে সমর্থনের পারদও।

কিন্তু এত পরিমাণে ভুয়ো ফলোয়ার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয় কীভাবে? আইটি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, “এক ধরনের সফটওয়্যার আছে, যার মাধ্যমে টুইটার অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এটাকে এমনভাবেই প্রোগ্রাম করা হয়, যাতে সে নিজে থেকেই একসঙ্গে অনেক কাজ করতে পারে। টুইটারের ভুয়ো ফলোয়ার অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সফটওয়্যারটিকে মূলত ফলো, রিটুইট, লাইকের মতো কাজ করতে পারে। বিভিন্ন কাজে উদ্দেশ্যমূলকভাবেই এই অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্যবহার করা যায়।”

[সহায় আরপিএফ, চলন্ত ট্রেনে যমজ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রসূতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement