সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ 'রেলওয়ে' শব্দটি ব্যবহার করেছেন মাত্র একবার। বস্তুত রেল নিয়ে নির্মলার বাজেটে বড় কোনও ঘোষণা সে অর্থে নেই। শুধু রেলের সার্বিক বরাদ্দ বৃদ্ধি ছাড়া। তবে তাতে হতাশ নন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। রেলে পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বাজেটে গরিবদের জন্য বরাদ্দ নেই, এই অভিযোগও অস্বীকার করেছেন।
অশ্বিনীর (Ashwini Vaishnaw) বক্তব্য, "২০১৪ সালের আগে রেলের পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ থাকত ৩৫ হাজার কোটি টাকার আশেপাশে। সেটা আজ বেড়ে ২.৬২ লক্ষ কোটি টাকা। রেলের জন্য এই মূলধন রেকর্ড অঙ্কের। রেলে এই বিপুল বিনিয়োগের জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে ধন্যবাদ জানাই।" রেলমন্ত্রীর অভিযোগ, "২০১৪ সাল পর্যন্ত আগের ৬০ বছর রেলে নতুন নতুন ট্রেন ঘোষণা করা হত, কিন্তু রেল ট্র্যাক সেটার জন্য প্রস্তুত কিনা খতিয়ে দেখাই হত না। পরিকাঠামোর কথা ভাবাই হত না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদির নজর সেদিকেই।"
[আরও পড়ুন: বাজেটে বেতনভুক কর্মীদের আয়কর স্বস্তি, নতুন কর কাঠামোয় বদল]
রেল (Indian Railway) বাজেটে কি ফোকাস বন্দে ভারতে? গরিবদের জন্য তাতে আদৌ কিছু নেই, সে অভিযোগ মানতে নারাজ রেলমন্ত্রী। তিনি বলছেন, "আমরা জানি আমাদের যাত্রীদের একটা বড় অংশ কম রোজগেরে। সেদিকে নজর আছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী। সেই যাত্রীদের কথাও ভাবতে হবে। আমরা একই সঙ্গে দুই পক্ষকেই নজরে রাখছি।"
[আরও পড়ুন: অশান্ত বাংলাদেশ থেকে দলে দলে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা, কী পড়তে যান তাঁরা?]
করমণ্ডল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ভয়ংকর দুর্ঘটনা। চলতি মাসে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (NCRB) বলছে, গত দশ বছরে স্রেফ রেল দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারিয়েছেন আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ! তবু এই রেল ব্যবস্থাই দেশের সিংহভাগ মানুষের নির্ভরযোগ্য গণপরিবহণ। ফলে রেল যাত্রায় আতঙ্ক বাড়লেও তা এড়ানো কঠিন। এই অবস্থায় তৃতীয় মোদি সরকারের বাজেটের দিকে তাকিয়ে ছিল আমজনতা। মনে করা হচ্ছিল, একের পর এক দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে যাত্রী সুরক্ষায় বিশেষ বরাদ্দ হতে পারে। কিন্তু বাজেটে সেভাবে কবচ নিয়ে আলাদা করে ঘোষণা না থাকায় অনেকেই হতাশ। কিন্তু রেলমন্ত্রী বলছেন, পরিকাঠামো খাত, এবং যাত্রী নিরাপত্তাই তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য।