হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: হাড়হিম কাণ্ড উত্তরপ্রদেশের শামলীতে! গার্হস্থ্য কলহ এবং বোরখা না পরার মতো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। শুধু খুন নয়, খুনের পর অভিযুক্ত তাদের দেহগুলি ঘরের ভেতরে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয়।
৩৫ বছর বয়সী তাহিরা এবং তাদের দুই মেয়ে—১৪ বছরের শারীন ও ৬ বছরের আফরিন। গত এক সপ্তাহ ধরে তারা নিখোঁজ ছিলেন। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর তদন্ত শুরু হয়। সন্দেহের ভিত্তিতে পুলিশ তাহিরার স্বামী ফারুককে হেফাজতে নেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক তার অপরাধ স্বীকার করে। সে পুলিশকে জানায়, দেহগুলি বাড়ির ভেতরেই পুঁতে রেখেছে। এরপর পুলিশ সুপার এন পি সিংয়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘরের ভেতর থেকে গর্ত খুঁড়ে তিনটি দেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশি তদন্তে জানা যায়, স্ত্রী তাহিরা কিছু কাজের জন্য ফারুকের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। সেই রাগে তাহিরা বোরখা না পরেই বাপের বাড়ি চলে যান। এতে ফারুক মনে করে তার 'সম্মান' ক্ষুণ্ণ হয়েছে। প্রায় এক মাস পরে অভিযুক্ত স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনে এবং এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, এটি প্রাথমিকভাবে গার্হস্থ্য বিবাদ সংক্রান্ত ঘটনা। খুনে ব্যবহৃত একটি পিস্তল ও কার্তুজ অভিযুক্ত ফারুকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পুলিশ অভিযুক্তকে জেরা করে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছে।
