সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে গত কয়েকদিনে ৬৮ জন মহিলার এইডস আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, জেলা হাসপাতালে সন্তান প্রসব করানোর সময় তাঁদের শরীরে ধরা পড়ে এইচআইভি ভাইরাস। আক্রান্তদের মধ্যে ২০ জন মহিলা নাকি দাবি করেছিলেন একই দোকান থেকে ট্যাটু করেছিলেন তাঁরা। যার জেরেই ঘটে থাকতে পারে এই ঘটনা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক চরম আকার নেয়। যদিও সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে গাজিয়াবাদ জেলার এইডস নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ট্যাটু করানোর এইডস আক্রান্ত হওয়ার যে অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গত কয়েকদিন ধরে একাধিক সংবাদমাধ্যমে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তার ভিত্তিতে জেলা এইডস নিয়ন্ত্রণ আধিকারিক ডঃ অনিল কুমার যাদব বলেন, আমাদের তরফে কোনও সংবাদমাধ্যমকে এমন কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ধরনের খবর পরিবেশনের জন্য ওই সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে নিয়মানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে যে হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানকার মনরোগ বিশেষজ্ঞ উমা সিং বলেন, প্রতিবছর এখানে ১৫ থেকে ২০ জন মহিলা এইডস আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে ট্যাটুর করানোর জেরে এইডস সংক্রমণের হয় না। তবে একই সূচ দিয়ে একাধিক জনের ট্যাটু করানো হলে বিপদের ঝুঁকি থাকতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা সূচ ব্যবহার করা উচিৎ।
জেলা হাসপাতলের প্যাথোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শেফালি আগরওয়াল বলেন, শরীরে ট্যাটু বানালে এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে ঠিকই, তবে তা মাত্র ০.৩ শতাংশ। যদি সেই সূচ কারও রক্তের সম্পর্কে আসে এবং তিনি যদি এইচআইভি আক্রান্ত হন সেক্ষেত্রে ওই সূচ ব্যবহারে দ্বিতীয় ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়। এই ধরনের ঘটনা রুখতে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।