সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ বলছি।' অচেনা নম্বর এমন পরিচয় শুনে শুরুতে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক অধেশ চৌহান। কোনওরকম ভনিতা না করে এর পরই অচেনা 'জয় শাহ' দাবি, অবিলম্বে ৫ লক্ষ টাকা পার্টি ফান্ডে দিতে হবে। বিনিময়ে মন্ত্রী পদ উপহার দেওয়া হবে তাঁকে। এমন প্রস্তাব শুনেই খটকা লাগে উত্তরাখণ্ডের রানিপুরের বিজেপি বিধায়ক অধেশের। পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৯ বছরের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করল হরিদ্বার থানার পুলিশ।
ডিজিটাল ইন্ডিয়ার জমানায় প্রতারণার একের পর এক অভিনব পন্থা ঘুম ছুটিয়েছে প্রশাসনের। সাধারণ মানুষ তো বটেই রেহাই পাচ্ছেন না খোদ জনপ্রতিনিধিরাও। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বিজেপি বিধায়ক অধেশকে ফোন করে প্রতারকরা। জয় শাহের নাম নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। বিনিময়ে তাঁকে মন্ত্রী করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বিধায়কের সন্দেহ হওয়ায় তিনি ওই টাকা দিতে রাজি হননি। এতেই জয় শাহের ভেক ধরা ওই অজ্ঞাতপরিচয় রীতিমতো হুমকি দেয় বিধায়কের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ার। সেদিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অধেশ।
গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার সন্ধ্যায় হরিদ্বার পুলিশ ১৯ বছর বয়সি এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি এই ঘটনায় আরও দুজন যুক্ত রয়েছেন বলে জানতে পারে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে উভেশ আহমেদ নামে একজনকে রুদ্রপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গৌরব নাথ নামে তৃতীয় ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে ওই প্রতারক দলের এহেন কীর্তি এই প্রথমবার নয়। অধেশকে ফোন করে টাকা চাওয়ার পাশাপাশি উত্তরাখণ্ডের আরও দুই বিধায়ককে ফোন করেছিল অভিযুক্তরা। তাঁরা হলেন নৈনিতালের বিধায়ক সরিতা আর্য ও রুদ্রপুরের শিব আরোরা। একইভাবে তাঁদের মন্ত্রী করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ লক্ষ করে টাকা চাওয়া হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে রীতিমতো বিলাসবহুল জীবনযাপন করত অভিযুক্তরা। সেই অর্থের যোগান আসত সাধারণ মানুষইকে ঠকিয়ে। এভাবে কতজনকে প্রতারণা করেছে অভিযুক্তরা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
