সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরুষদের পাশাপাশি মহাকুম্ভে আস্থার ডুব দিচ্ছেন কোটি কোটি মহিলা ভক্তও। কিন্তু অভিযোগ, মহিলাদের সেই স্নানের ভিডিওই দেদার বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। আর এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই কড়া ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। ইতিমধ্যেই দুটি সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
বুধবার এনিয়ে একটি বিবৃতি দেয় মহাকুম্ভের দায়িত্বে থাকা পুলিশ টিম। জানানো হয়, তাদের সোশাল মিডিয়া সেল গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছে। ভালো করে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর কয়েকটি অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করা হয়েছে। যারা এমন কিছু ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়েছে যাতে মহাকুম্ভের গরিমা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের গোপনীয়তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। ওই অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে মহাকুম্ভ মেলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, সেখান থেকে আপত্তিকর ভিডিও পোস্ট করা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে কুম্ভ কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করে মেটার সঙ্গে। অনুরোধ করা হয়, যেন ওই অ্যাকাউন্টে হোল্ডারের সমস্ত তথ্য জানানোর জন্য। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি একই অভিযোগে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হয়। তদন্তে নামে পুলিশ। আইনি পদক্ষেপের প্রক্রিয়া চলছে বলেই খবর। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি প্রশান্ত কুমারও কড়া আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে মহাকুম্ভে আসা মহিলা পুণ্যার্থীদের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের এক সাংবাদিক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ওই মহিলাদের ভিডিওতে অশ্লীল মন্তব্য করার পাশাপাশি মহাকুম্ভের পবিত্র স্নান ও হিন্দু দেব-দেবীদের নিয়ে নানা আপত্তিকর কথা বলেছেন। এই বিষয়টি রাজ্য প্রশাসনের নজরে আসতেই কড়া পদক্ষেপ করা হয়।
জানা যায়, ধৃতের নাম কামরান আলভী। তিনি নিজেই একটি সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইট চালান। কুম্ভ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সঙ্গমে স্নানরত মহিলাদের ভিডিও করে ছড়িয়ে দেন কামরান। শুধু তাই নয়, সেই ভিডিওতে নানা অশালীন মন্তব্য করেন। কিন্তু এখানেই থামেননি বারাবাঙ্কি শহরের ওই স্থানীয় সাংবাদিক। মহাকুম্ভের পবিত্র স্নান, আচার-নীতি, হিন্দু দেবতাদের নিয়েও নানা অবমাননাকর মন্তব্য করেন। এই বিষয়টি নজরে আসে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনের। এরপরই কঠোর পদক্ষেপ হিসাবে মামলা রুজু করা হয়। কামরানকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। বলে রাখা ভালো, মহাকুম্ভের আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী যোগী। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মেলা প্রাঙ্গন। জোর দেওয়া হয়েছে কুম্ভকে কেন্দ্র করে সাইবার জালিয়াতি, সোশাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানোর রুখতেও কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সেই মতো চলছে নজরদারি।
