সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে কাগজে বের হওয়া বিজ্ঞাপনের ছবি দুপুরে পরিণত হল বাস্তবে! মিড-ডে নামে গুজরাটের একটি সংবাদপত্রের প্রথমপাতা জুড়ে কিডজানিয়া-র ওই বিজ্ঞাপন রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিজ্ঞাপনের সঙ্গে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার কোনও মিল রয়েছে না পুরো ঘটনায় কাকতালীয় সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন নেটনাগরিকরা।
গতবছর এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে কিডজানিয়া। এরপরই অ্যাভিয়েশন অ্যাকাডেমির পথচলা শুরু হয়। মূলত এয়ারপোর্ট অপারেশন, পাইলট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়র-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ৪ থেকে ১৬ বছর বয়সিদের বিভিন্ন জিনিস শেখানো হয় এই অ্যাকাডেমিতে।ফাদার্স ডে সেলিব্রেশনের জন্য বৃহস্পতিবারের কাগজে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল তারা। ভাইরাল হওয়া ওই বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সি বাচ্ছারা খেলা করছে। পাশেই রয়েছে একটি বহুতল। সেই বহুতল ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। যদিও বিমানের নাকের দিকের অংশটিই দেখা যাচ্ছে সেখানে।
এদিকে এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ পাওয়ার কয়েকঘণ্টা পরেই বাস্তবে একই ছবি দেখা যায়। আহমেদাবাদে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের বিল্ডিং ফুঁড়ে ঢুকে যায়। এরপরেই বড়ো বিস্ফোরণ হয় ওই এলাকায়। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়। বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যান একজন যাত্রী। এদিকে এই দুর্ঘটনার পরই সামাজিক মাধ্যমে একধিক ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তেমনই অনেক ছবির মধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে একটি ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বিমানটি হস্টেল ফুঁড়ে ঢুকে পড়েছে। এদিকে বিমানের লেজের দিকে বেশ খানিকটা অংশ বাইরে ঝুলছে। এই ছবিই মিলিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞাপনের ছবির সঙ্গে। তবে পার্থক্য শুধু বিজ্ঞাপনে বিমানের নাকের দিকের অংশ দেখা গিয়েছে। আর বাস্তবে বিমানের লেজের দিকের অংশটিকে ঝুলতে দেখা গিয়েছে।
এই ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই বিজ্ঞাপনী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনও মিল নেই। এই ঘটনা কাকতালীয়। তারা জানিয়েছে, এই বিজ্ঞাপন তাদের গ্লোবাল প্রোমোশনের অংশ ছিল। এর সঙ্গে দুর্ঘটনার কোনও মিল নেই। দুর্ঘটনার কোনও আগাম পূর্বাভাসও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেওয়া হয়নি। তবে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর এই বিজ্ঞাপন আর ব্যবহার করা হবে না বলে ওই বিজ্ঞাপনী সংস্থার তরফো জানানো হয়েছে।
