সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম যেদিন বেঙ্গালুরুতে ভোটচুরির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলেন, সেদিন দাবি করেছিলেন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ২৫ আসনে ভোটচুরি করে জিতেছে বিজেপি। এবার সেই সংখ্যাটা অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন রাহুল গান্ধী। এবার লোকসভার বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, অন্তত ৭০ আসনে নির্বাচন কমিশনের সাহায্য ভোটচুরি করে জয় এসেছে বিজেপির ঘরে। সেই দৌলতেই এখন প্রধানমন্ত্রীর কুরসিতে নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার দলের বৈঠকে রাহুল গান্ধী দাবি করেন, কংগ্রেস এবং বিজেপির সরাসরি লড়াইয়ে ৫০ হাজার বা কম ব্যবধানে বিজেপি জিতেছে ৭০ আসন। ওই ৭০ আসনের জয়েই হাত রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। ভোট চুরি না হলে ওই আসনগুলিতে জিততে পারত কংগ্রেস। ওই ৭০ আসনেও কর্নাটকের মহাদেবপুরার মতো সমীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছেন রাহুল। যদিও বিরোধী দলনেতার ওই প্রস্তাবে দলের অন্দরেই সংশয়ের সুর শোনা যাচ্ছে। শচীন পাইলটের মতো সিনিয়র নেতা বলছেন, স্থানীয় কংগ্রেস নেতাকর্মীরা ভোটচুরির আড়ালে যেন নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা না করেন। বস্তুত পাইলটের বক্তব্য, সব দায় ভোটচুরির উপর ঠেললে আসলে দলেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।
দিনকয়েক আগেই কর্নাটকে ভোটচুরির অভিযোগ তোলেন রাহুল। সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোটার তালিকা ধরে নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে ‘প্রমাণ’ পেশ করেন তিনি। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী দাবি করেন ছয় পদ্ধতিতে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে। তিনি নাম এবং ঠিকানা তুলে ধরে দেখিয়েছিলেন যে একই ঠিকানায় দেখা গিয়েছে আশিজন ভোটারের নাম, আবার এমন ঠিকানা দেখা গিয়েছে যেটি আসলে একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা এবং সেখানে কেউ থাকেন না। পাশাপাশি ছবি ভুল এবং একই ভোটারের একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকার প্রমাণও তুলে ধরেছেন তিনি।
এখানেই থামেননি রাহুল, এরপর গোটা ইন্ডিয়া জোটকে একত্রিত করে নির্বাচন কমিশন অভিযানও করেছেন তিনি। হুমকি দিয়ে রেখেছেন, আগামী দিনে আরও তথ্যের বিস্ফোরণ ঘটাবেন। এরই মধ্যে তাঁর দাবি, ৭০ আসনে ভোটচুরি করে জিতেছে বিজেপি।
