সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন হেনস্থার জেরে অপমানে আত্মঘাতী হয়েছিল ছাত্রী। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সাধুর বেশে গাঢাকা দিয়েছিল মহাকুম্ভে। সাধুর বেশ ধরেই মহাকুম্ভ থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। রোমাঞ্চকর গোয়েন্দা গল্পের মতো চোর-পুলিশের এই লুকোচুরির সাক্ষী হল পুণ্যভূমি প্রয়াগরাজ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সূত্রপাত মধ্যপ্রদেশের ভোপালের সুখী সেওয়ানিয়া গ্রামে। গত ২৫ জানুয়ারি নিজের বাড়িতে বিষ খায় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর আগে বাবাকে সে জানায়, স্কুলের এক শিক্ষক যৌন হেনস্থা করেছে তাঁর। মেয়ের মৃত্যুর নেপথ্যে শিক্ষকের হাত রয়েছে জেনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তার বাবা। সেই মতো ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।
মৃত ছাত্রীর সহপাঠী ও অন্যান্য শিক্ষকদের বয়ান রেকর্ড করার পর যৌন হেনস্থার বিষয়ে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। এরপর যৌন হেনস্থা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে জানতে পেরে ফেরার হয়ে যান অভিযুক্ত শিক্ষক। বিহারের কৈমুর জেলায় অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়েও খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। সেখানে সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে গা ঢাকা দিয়েছেন। নিশ্চিত খবরের ভিত্তিতে কুম্ভে হাজির হয় মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। সাধুর বেশেই তাঁকে অনুসরণ করতে শুরু করেন তদন্তকারীরা।
মহাকুম্ভ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার সময় পথেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ভোপালে একটি বেসরকারি কলেজে এমসিএ পড়ছিলেন। পাশাপাশি, স্কুলেও পড়াচ্ছিলেন।
