সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গিয়েছিলেন সংখ্যালঘু সমাবেশে। লক্ষ্য উনিশের ভোটের আগে মুসলিম ভোটারদের মন জয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন জয় তো হলই না উলটে সংখ্যালঘুদের চটিয়ে বসলেন বিহারের মন্ত্রী তথা নীতীশ মন্ত্রিসভার সবচেয়ে বর্ষীয়ান সদস্য বিজেন্দ্রপ্রসাদ যাদব। প্রকাশ্য জনসভায় তাঁকে সংগঠকদের তরফে ফেজ টুপি উপহার দেওয়া হলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন।
[পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক লাইন, নয়া নিয়ম পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে]
রবিবার বিহারের কাটিহারে একটি সংখ্যালঘু সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যতম প্রধান অতিথি ছিলেন জেডিইউ নেতা তথা রাজ্যের শক্তি মন্ত্রী বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদব। আয়োজকরা মঞ্চে উপস্থিত সকল অতিথিকেই বরণ করা হয় হাজি রুমাল এবং ফেজ টুপি পরিয়ে। মঞ্চে উপস্থিত অন্য সকল অতিথিই আয়োজকদের দেওয়া ফেজ টুপি এবং হাজি রুমাল সাদরে গ্রহণ করেন। বিপত্তি বাধল মন্ত্রীর কাছে এসে। গোড়া হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী মন্ত্রী হাজি রুমালটি গ্রহণ করলেও ফেজ টুপিটি মাথায় পরতে এক্কেবারে রাজি নন। তাই আয়োজক সদস্য তাঁর মাথায় টুপিটি পরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই তড়িঘড়ি তাঁকে বাধা দেন মন্ত্রী। ফেজ টুপিটি অবশ্য তিনি গ্রহণ করেছিলেন। মাথায় না দিয়ে হাতে করে তা সরিয়ে দেন পাশে থাকা এক ব্যক্তির হাতে।
[বড় সাফল্য ইডির, বাজেয়াপ্ত নীরব মোদির ৬৩৭ কোটির সম্পত্তি]
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই এ নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বাদানুবাদ শুরু হয়েছে। বিহারের একটি সংখ্যালঘু সংগঠন দাবি করেছে, বিজেপির সঙ্গে জোট করার পর থেকেই নীতীশ কুমারের দল বিজেপির মতোই হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। জেডিইউয়ের তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই ঘটনার সাফাই দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বিজেন্দ্র যাদব ফেজ টুপি মাথায় না পরলেও তিনি তা গ্রহণ করেছেন। সুতরাং, এতে জলঘোলা করার কিছু হয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার ফেজ টুপি পরতে অস্বীকার করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও গতবছর ইফতার পার্টিতে মাত্র কয়েক কয়েক সেকেন্ডের জন্য ফেজ টুপি পরে তা খুলে ফেলেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ভোটের আগে হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইছে না কোনও দলই, সেকারণেই নেতাদের এমন ফেজ টুপিতে আপত্তি।
The post মুসলিম সমাবেশে ফেজ টুপি পরতে অস্বীকার, বিতর্কে বিহারের মন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.