সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে আর্থিকভাবে কার্যত কোণঠাসা শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। দলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার পাশাপাশি শুক্রবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ১৮২৩ কোটি টাকার নয়া আয়কর নোটিস ধরিয়েছে আয়কর দপ্তর। এদিকে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেসের আবেদন। নির্বাচনের আগে আর্থিকভাবে বিপাকে পড়ে এবার কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই ঘটনাকে ‘আয়কর সন্ত্রাস’ বলে তোপ দাগার পাশাপাশি সরকার বদল হলে এভাবে ‘গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণের’ তদন্তের হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আয়কর দপ্তরের নয়া নোটিসের পর শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে সরব হন রাহুল গান্ধী। সেখানে কংগ্রেস সাংসদ বার্তা দেন, ‘যারা এগুলো করছে তাদের বোঝা উচিত কোনও না কোনও দিন বিজেপির সরকার বদল হবে। সরকার বদল হলেই গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত হবে। এমন তদন্ত হবে যে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি দ্বিতীয়বার এমন কাজ করার সাহস পাবে না ওরা। এটা আমার প্রতিশ্রুতি।” পাশাপাশি এবিষয়ে ভিডিও বার্তাও দেন রাহুল গান্ধী।
[আরও পড়ুন: গান্ধীজির মতো ডান্ডি অভিযান করতে চলেছেন সোনম ওয়াংচুক!]
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ২০০ কোটি টাকার আয়কর নোটিস দেওয়া হয়েছিল। ফ্রিজ করে দেওয়া হয় দলের অ্যাকাউন্ট। গত এক দশক ধরে ক্ষমতাচ্যুত কংগ্রেস এমনিতেই আর্থিকভাবে সংকটে। তার উপর আয়কর দপ্তরের এহেন পদক্ষেপে কার্যত দেউলিয়া অবস্থা দলের। এই পরিস্থিতিতে আয়করের নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে রিঅ্যাসেসমেন্ট দাবি করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিল দল। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে সেই মামলাও খারিজ হয়ে যায়। এর পর শুক্রবার ফের সোনিয়ার দলকে ১৮২৩ কোটি টাকার নোটিস ধরিয়েছে আয়কর বিভাগ। যেখানে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত জরিমানার সঙ্গে সুদের অঙ্কও ধরা হয়েছে। গোটা ঘটনাকে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের আগে দলকে আর্থিকভাবে ধংস করতে উঠে পড়ে লেগেছেন মোদি-শাহরা।
[আরও পড়ুন: বাড়িতে ৩ সন্তান, স্বামী পরিযায়ী, প্রচারে ব্যস্ত বসিরহাটের রেখার সংসার সামলাচ্ছেন কে?]
কংগ্রেসের অভিযোগ, নতুন করে আয়কর দপ্তরের তরফে যে নোটিস ধরানো হয়েছে তার সপক্ষে কোনও কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। তাতেই স্পষ্ট যে শুধুমাত্র উসুলি করে কংগ্রেসকে বিপাকে ফেলতেই এগুলো করা হচ্ছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি খারিজ করে আয়কর দপ্তরের দাবি, ইলেক্টোরাল বন্ড-সহ অন্যান্য খাতে গত কয়েক বছরে কংগ্রেস যে টাকা আয় করেছে তাতে কর ফাঁকি দিয়েছে। নোটিস পাঠিয়ে সেই করের টাকা ও জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে আয়কর দপ্তরের নোটিস প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অজয় মানেক বলেন, “যে মাপকাঠিতে কংগ্রেসকে জরিমানা করা হয়েছে সেই একই মাপকাঠিতে বিজেপির কাছ থেকে ৪৬০০ কোটি টাকা আদায় করা উচিত।”