সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার দশকের বামদুর্গ তছনছ করে তিরুঅনন্তপুরমের পুরসভা নির্বাচনে বিরাট জয় পেয়েছে বিজেপি। এই ঘটনাকে কেরলের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ভিত্তি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দুর্গ দখলের পর তিরুঅনন্তপুরমের মসনদে কে বসবেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। এই তালিকায় সবার আগে উঠে এসেছেন কেরলের প্রথম মহিলা আইপিএস আর শ্রীলেখা। অনুমান করা হচ্ছে, প্রাক্তন ডিজিপি ৬৪ বছরের এই বিজেপি নেত্রীকে মেয়র করতে পারে গেরুয়া শিবির।
তিরুঅনন্তপুরমের পুরসভা নির্বাচনে ষষ্ঠমঙ্গলম ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন শ্রীলেখা। ভোটে এলডিএফ বিপুল ভোটে হারিয়ে জয়লাভ করেন তিনি। নির্বাচনে তিনিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ী প্রার্থী। এবার মেয়র পদে তাঁর নামই উঠছে কিনা প্রশ্ন করা হলে শ্রীলেখা বলেন, "আমরা জেনেছি ষষ্ঠমঙ্গলম ওয়ার্ডে এতবড় ব্যবধানে কেউ কখনও জয়ী হননি। এর জন্য এখানকার মানুষকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি এখানে প্রার্থী হওয়ার পর এলডিএফ ও কংগ্রেস আমাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টায় কোনও খামতি রাখেনি। নির্বাচনে তাঁদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে জনতা। আর মেয়র পদের জন্য দলের সিদ্ধান্ত যেটাই হবে আমি মাথা পেতে নেব।"
তিরুঅনন্তপুরমের মেয়র হিসেবে নাম উঠে আসে এই শ্রীলেখা আসলে কে?
জানা যাচ্ছে, শ্রীলেখার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এই তিরুঅনন্তপুরমে। ১৯৮৭ সালে কেরলের প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার হন তিনি। তিন দশকের কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন সংস্থা এবং জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। কর্মজীবনে সিবিআই, কেরালা ক্রাইম ব্রাঞ্চ, ভিজিল্যান্স, ফায়ার ফোর্স এবং মোটরযান বিভাগেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে, তিনি কেরালার পুলিশের ডিজিপি পদে নিযুক্ত হন। সিবিআইতে থাকাকালীন, অভাবনিয় কাজের জন্য তাঁকে 'রেইড শ্রীলেখা' বলে ডাকা হত। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের জন্য সুনাম অর্জন করেন তিনি। অবসরের পর ২০২৪ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে নামেন শ্রীলেখা। এবার মেয়র পদে বসতে পারেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার তিরুঅনন্তপুরম পুরসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ১০১ সদস্যের তিরুবনন্তপুরমে বিজেপি বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিজেপি ৫০টি ওয়ার্ডে জয়লাভ করেছে, যেখানে সিপিআই(এম)-এর নেতৃত্বাধীন এলডিএফ পেয়েছে ২৯টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ ১৯টি আসন পেয়েছে।
