সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেল্লায় দোতলা বাড়ি। সাত হাজার বর্গফুটের বাড়িটি তৈরিও হয়েছে ইউরোপীয় ঘরানায়। অন্তত সাত কোটি টাকা তো খরচ হয়েইছে! উত্তরপ্রদেশ পুলিশের প্রাক্তন কনস্টেবল অলোকপ্রতাপ সিংয়ের এই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে অন্দরসজ্জা দেখে চোখ কপালে উঠল ইডি আধিকারিকদের।
নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ পাচারের মামলায় অলোকের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযানে বাড়ি থেকে মিলেছে দামি ব্যাগ,ঘড়ি-সহ নানা বহুমূল্যবান জিনিসপত্র। তদন্তকারীদের প্রাথমিক হিসাব বলছে, বাড়িটির অন্দরমহল সাজাতেই অন্তত দেড় থেকে দু'কোটি টাকা খরচ হয়েছে। জমি কেনার খরচ বাদ দিয়ে শুধু বাড়িটি তৈরি করতেই খরচ হয়েছে অন্তত পাঁচ কোটি টাকা। ঘটনাচক্রে, ২০১৯ সালেই অলোককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, অলোক যেহেতু চাকরিজীবনে কনস্টেবল পদে ছিলেন, তাঁর বেতনও মেরেকেটে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা ছিল। বর্তমানে তিনি লখনউ জেলে বন্দি।
কাশির সিরাপ পাচার সংক্রান্ত মামলার তদন্তে অমিতকুমার সিং নামে এক ব্যক্তিকে সম্প্রতি জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। সেই জেরায় অলোকের নাম উঠে আসে। তারপরেই অলোকের লখনউয়ের বাড়িতে অভিযান চালান কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। অভিযোগ, অলোক কাশির সিরাপ চক্রের সঙ্গে জড়িত। উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডেও এই চক্র সক্রিয়। এমনকি বাংলাদেশ, নেপালেও তা ছড়িয়ে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সাড়ে চার কোটি টাকার কাশির সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছেন ৩২ জন। পাচারচক্রের টাকা কোথায় কোথায় পৌঁছেছে, তাই খতিয়ে দেখছে ইডি। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, পাচারচক্রের মূল মাথা শুভম জয়সওয়াল। তিনি পলাতক। দুবাইয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অনুমান। শুভমের বাবা ভোলা জয়সওয়ালকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
