সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা যেন মুখোশ খুলে দিচ্ছে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন PFI-এর। ক্রমেই সহিষ্ণুতা ভুলে জঙ্গি আন্দোলনের হুমকি দিয়ে চলেছেন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার একের পর এক নেতা। দিন কয়েক আগে কর্ণাটকের রাস্তায় এক PFI নেতা লিখে রেখেছিলেন ‘আমরা প্রতিশোধ নিতে ফিরব।’ এবার মহারাষ্ট্রের এক PFI নেতা সোজা অযোধ্যার রাম মন্দির এবং মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, তাঁদের র্যাডারে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi)।
মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক বিজয় উপাধ্যায়ের অভিযোগ, মহম্মদ সফি বিরজাধর নামের এক PFI নেতা তাঁকে খুনের হুমকি দিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। যাতে বলা আছে, PFI বিরোধী প্রচার বন্ধ না করলে মাথা থেকে তাঁর ধড় আলাদা করে নেওয়া হবে। ওই চিঠিতেই নাকি অযোধ্যা এবং মথুরাতে বোমা মারার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বিজেপি (BJP) নেতার অভিযোগ, PFI নেতা অযোধ্যার রাম মন্দির এবং এবং মথুরার কৃষ্ণ জন্মভূমিতে বোমা মারার পাশাপাশি একাধিক প্রথম সারির নেতাকেও খুন করার হুমকি দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন: বর্ণভেদ এবং জাতিভেদ প্রথা ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া উচিত, বলছেন RSS প্রধান]
ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত PFI নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন ওই বিজেপি বিধায়ক। সেই সঙ্গে তাঁর কাছে যে চিঠিটি এসেছে তার প্রতিলিপিও থানায় জমা দিয়েছেন ওই বিজেপি নেতা। ওই চিঠির বয়ানে স্পষ্ট অযোধ্যা এবং মথুরায় বোমা মারার কথা উল্লেখ আছে। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে মহারাষ্ট্রের সোলাপুর থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: চার ঘণ্টায় একশো পুজো দর্শন, কার্নিভ্যালের পাসের চাহিদা তুঙ্গে]
উল্লেখ্য, সদ্যই ইউএপিএ আইনের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআই (PFI) সংগঠনকে। শুধু পিএফআই-ই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন যেমন সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমস্ত সংগঠনকেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বেআইনি কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার জন্যই এই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।