সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক দলের ভরাডুবি হয়েছে। কংগ্রেসের অর্ধেক আসনও জোটেনি। তবু যেন মচকাচ্ছেন না বিজেপি নেতারা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) হারের পরও সমানে কটাক্ষ করে চলেছেন কংগ্রেসকে। কর্ণাটকের ফল নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘এবার ইভিএমকে দোষ দেবেন না!’
অসমের মুখ্যমন্ত্রী টুইটে বলেন, “আমরা সবসময় মানুষের রায় মাথা পেতে নিই। আমরা ইভিএমকে (EVM) দোষ দিই না হারের জন্য। অন্য কোনও গুরুত্বহীন বিষয়কেও দোষারোপ করি না। তার বদলে আমরা হারের কারণ খতিয়ে দেখে এগিয়ে যায়।” হিমন্ত দাবি করেন, “আমি নিশ্চিত কর্ণাটক বিজেপিও হারের কারণ পর্যালোচনা করে মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবে।” হিমন্ত একা নন, ইভিএম নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও।
[আরও পড়ুন: সাত মাসে ৪ রাজ্যে হার, চাপ নাড্ডার উপর! খাড়গে সভাপতি হতেই সাফল্যের সরণিতে কংগ্রেস]
কর্ণাটকে (Karnataka) বিজেপির পরাজয়ের পর প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) থেকে শুরু করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, অখিলেশ যাদব, শিব সেনা (উদ্ধবপন্থী) নেতা সঞ্জয় রাউত-সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা একযোগে বিজেপি বিরোধী জোটের ডাক দিয়েছেন। বস্তুত, দেশজুড়ে বিরোধী শিবির উচ্ছ্বসিত। সেই উচ্ছ্বাসকেও কটাক্ষ করেছেন হিমন্ত। তাঁর দাবি, বিরোধীরা কর্ণাটকের জয়কে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে চাইছে।
[আরও পড়ুন: ‘পিকে’র সঙ্গী থেকে রাহুলের ‘মেঘনাদ’, চিনে নিন কংগ্রেসের কর্ণাটক জয়ের নেপথ্য নায়ককে]
এদিকে, প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বাল (Kapil Sibal) কংগ্রেসকে একটি পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য,”কর্ণাটকের ভোটে জেতা কঠিন ছিল, মানুষের মন জেতা আরও কঠিন। আগামী পাঁচ বছর মানুষের মন জিতুন। সততার সঙ্গে কোনওরকম বিভাজন ছাড়া সরকার চালান। এটাই বিজেপি করেনি। তাই হেরেছে।”