সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে কুয়েতের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নামছে ভারত (India Football Team)। আপাতত সেই ম্যাচের আগে প্রস্তুতি শিবিরে রয়েছেন ভারতীয় ফুটবলাররা। অল্পসময়ের এই প্রস্তুতি শিবির নিয়েও খুশি ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। শক্তিশালী কুয়েতের বিরুদ্ধে নামার আগে মানসিকভাবে তৈরি ভারত।
এই ম্যাচে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী ভারত অধিনায়ক। সোমবার তিনি বলেন, “আমি মনে করি আমরা ঠিক পথেই চলেছি। আমাদের দলটা যথেষ্টই শক্তিশালী। এটাও মানতে হবে আমরা কঠিন গ্রুপে রয়েছি। প্রস্তুতির মধ্যে কয়েকজনের চোট থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে খেলায় প্রত্যেকের সঙ্গে বোঝাপড়া খুব ভালো। আবার বেশ কয়েকজন তরুণ ফুটবলার চোখে পড়ার মতো রয়েছে। সব মিলিয়ে আত্মবিশ্বাসী সবাই।”
[আরও পড়ুন: সেমিফাইনালে উলটে চাপে থাকবে রোহিতের ভারত! ‘মাইন্ড গেম’ শুরু করে দিলেন কেন উইলিয়ামসনের প্রাক্তন তারকা সতীর্থ]
সঙ্গে যোগ করেন, “গত ছয় থেকে আট মাসে আমাদের পারফরম্যান্স গ্রাফ খুব ভালো, এই সময়ের মধ্যে বেশকিছু তরুণ ফুটবলার জায়গা পাকা করে ফেলেছে এই দলে। আমরা যে সময় বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচ খেলতে নামছি তার আগে একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সৌজন্যে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া বাড়াতে পেরেছি। যেগুলো এই প্রতিযোগিতায় খুব কাজে আসবে।”
কুয়েত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুনীলের বক্তব্য, “আমরা ইতিমধ্যেই কুয়েতের সঙ্গে দু’বার ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। তাই ওদের সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। একই সঙ্গে গত তিন বছরে কাতারের সঙ্গে তিনবার মুখোমুখি হয়েছি। এই সব ম্যাচের অভিজ্ঞতা আমাদের বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে নামার আগে সাহায্য করবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে ঘরের মাঠে ভারত দারুণ খেলেছে। একই সঙ্গে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের প্রতিটি পয়েন্ট গুরুত্বপূ্র্ণ, মানছেন ভারত অধিনায়ক। বলছেন, “এখানে প্রতিটি ম্যাচের প্রতিটি পয়েন্ট আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই কুয়েতের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে নামার আগে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছি সবাই। মানছি কঠিন কাজ, চোট আঘাত রয়েছে। কিন্তু বলতে পারি, আমরা এখন পুরোপুরি তৈরি।”
এখনই তিনি ৩৯। স্বাভাবিকভাবে এটাই কার্যত শেষ প্রাক-বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা হতে চলেছে ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর। অস্বীকার করছেন না তিনি নিজেও। এই নিয়ে চতুর্থবার এই প্রতিযোগিতায় নামার আগে আবেগপ্রবণ ভারত অধিনায়ক। জানালেন, পনেরো বছর আগে প্রথম ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছিলেন। তখন যেমন ভাবতেন, এই বয়সে এসেও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামলে একই অনুভূতি হয় তাঁর।