সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামীর উপর একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন মহম্মদ শামির স্ত্রী হাসিন জাহান। অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় পেসার। জানিয়ে দিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন।
হিমাচলপ্রদেশের ধরমশালায় দেওধর ট্রফিতে খেলছেন শামি। আর তখনই স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়ানোর মতো গুরুতর অভিযোগ তুললেন তাঁর স্ত্রী হাসিন জাহান! শুধু তাই নয়, হাসিনের অভিযোগ, শামির পরিবার তাঁকে হত্যা করারও চেষ্টা করেছিল। মঙ্গলবার দুই মহিলার সঙ্গে চ্যাটের একটি স্ক্রিনশটও ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। হাসিন জাহানের দাবি, ওই দুই মহিলার সঙ্গে শামি চ্যাট করছিলেন। যে চ্যাটের ভাষাতেই স্পষ্ট, শামির সঙ্গে বন্ধুত্বের চেয়ে গভীর সম্পর্ক রয়েছে তাঁদের। বুধবার লালবাজারের দ্বারস্থ হন হাসিন। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে শামির। আমি এটাও জানি না, ও ইতিমধ্যেই আরেকটা বিয়ে করে ফেলেছে কিনা। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার উপর প্রায়ই অত্যাচার চালাত। ওরা শুধু টাকা ভালবাসে। আমার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। তাই নিজের বিয়েটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম এতদিন। তবে এবার প্রকাশ্যে মুখ খুলতে বাধ্য হলাম। নিজের সম্মান ও সুবিচারের জন্যই আমি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।” গোটা বিষয়টি নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন শামি। ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট করেন। লেখেন, “আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে সব অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমাকে বদনাম করার জন্য বড়সড় কোনও ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে আমার খেলাতেও এর প্রভাব পড়ে।”
[পরকীয়ায় জড়িত শামি, ফেসবুকে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ স্ত্রীর]
হাসিন জাহান ও কন্যার সঙ্গে সুখেই সংসার করছিলেন শামি। এমনকী দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে তাঁর বাড়ির কাছেই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা করেছিল। যার জন্য পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। স্ত্রী ও কন্যা নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে গিয়েছিলেন। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝে মধ্যেই স্ত্রী ও কন্যার ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় তাঁকে। সে নিয়ে নানা কারণে কট্টরপন্থীদের চোখ রাঙানিও সহ্য করতে হয়েছে। তাই আচমকা স্ত্রীর এমন অভিযোগে বিস্মিত শামির অনুগামীরাও।
[চ্যাম্পিয়ন হতে মিনার্ভাকে টাকার টোপ, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে উঠল গড়াপেটার অভিযোগ]
The post পাকিস্তানের মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক শামির, লালবাজারে স্ত্রী হাসিন appeared first on Sangbad Pratidin.