সুব্রত বিশ্বাস: কোভিড (Corona Pandemic) পরিস্থিতিতে বিধ্বস্ত গোটা দেশ। বেকারত্বের সমস্যা প্রতিদিন আরও বাড়ছে। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতেই ভারতীয় রেল (Indian Railways) থেকে চলতি বছরে ১৩,৪৫০টি পদের বিলোপ ঘটানো হল। আর এই নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে।
বেশ কয়েক বছর ধরে শূন্যপদের বিলোপ ঘটানো শুরু হয়েছে। রেলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ ও বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের প্রয়োজন নেই মনে করে তা বিলোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। রেল বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উমেশ ব্যালোণ্ডা গত ২০ মে জোনাল রেলগুলির GAO-দের এই পদগুলি বিলোপের নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, ওয়ার্ক স্টাডির পর চলতি আর্থিক বছরে ১৩,৪৫০টি পদের বিলোপ ঘটানো হচ্ছে। ষোলোটি জোনের ১৩,৪৫০টি পদের মধ্যে পূর্ব রেলের পদ রয়েছে ১৩০০ ও দক্ষিণ—পূর্ব রেলের রয়েছে ৯০০টি পদ। এই পদ বিলুপ্তির ফলে বেকার যুবক—যুবতীরা যেমন রেলে চাকরি পাবেন না, তেমনই নিচুতলার কর্মীদেরও পদোন্নতি হবে না বলে অভিযোগ তুলেছে রেলের কর্মী সংগঠন।
[আরও পড়ুন: করোনায় বিধ্বস্ত দেশ, ‘যশে’র তাণ্ডবেও মোদির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইলেন না ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী]
রেল বোর্ডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টরের এই নির্দেশের পরই কোভিড পরিস্থিতিতে রেলের এই চরম সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষোভ জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের জিএস শিবগোপাল মিশ্র। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের পথে পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নও। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগ করে বলেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় এমনিতেই কর্মী কম। কোভিডে মারা গিয়েছেন অনেক কর্মী। ফলে কর্মীদের উপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। এজন্য শূন্যপদের নিয়োগ খুবই জরুরি। সেই শূন্যপদে নিয়োগ না ঘটিয়ে পদের বিলোপ ঘটানো হচ্ছে। এটা রেলকে বেসরকারিকরণের দিকে নিয়ে যাওয়ার এক বড় চক্রান্ত। এর প্রতিবাদে রেলকর্মীরা পথে নামবেন। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, সুরক্ষায় খামতি রাখা চলবে না। ফলে সুরক্ষার সঙ্গে যুক্ত পদের বিলোপ ঘটানো হচ্ছে না। বহু পদ রয়েছে এমনকী, ক্লার্ক পদেরও অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই। ফলে ব্যয় সংকোচন নীতিতে নতুন করে আর নিয়োগ হচ্ছে না।