সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন বিবাহিত ভারতীয় মহিলার স্বামীর বিষয়ে অধিকারবোধ সব সময়ই প্রবল। এব্যাপারটা তাঁরা মানতে পারেন না যে, স্বামী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবে। এক গৃহবধূর আত্মহত্যার মামলায় স্বামীর জামিনের আবেদন নাকচ করার সময় এমনটাই জানাল এলাহাবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)।
ঠিক কী হয়েছিল? অভিযুক্ত সুশীল কুমার সম্প্রতি তৃতীয় বিয়ে করেছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরেই বারাণসীর এক থানার দ্বারস্থ হন তাঁর স্ত্রী। জানা গিয়েছে, সুশীলের দুই সন্তানও রয়েছে। এই অবস্থায় সুশীল নতুন বিয়ে করতে চলেছেন জানতে পেরে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। পাশাপাশি তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর স্বামী তাঁর উপরে শারীরিক ও মানসিক নিগ্রহও করেছেন। এফআইআরে অবশ্য কেবল সুশীল নন, মোট ৬ জনের নাম রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইদের আবহে পতাকা খোলা নিয়ে উত্তপ্ত যোধপুর, পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল পাথর]
পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরই বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ওই মহিলা। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদীর বেঞ্চ জানিয়েছে, ”ভারতীয় স্ত্রীদের আক্ষরিক অর্থেই তাঁদের স্বামীর উপরে অধিকারবোধ থাকে প্রবল। কোনও বিবাহিত মহিলার কাছে এটা সবথেকে বড় ধাক্কা যে, তাঁর স্বামী ফের বিয়ে করেছেন অথবা তিনি অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এই ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ভারতীয় মহিলাদের পক্ষে মাথা ঠিক রাখা সম্ভব হয় না। আর এক্ষেত্রে ঠিক সেটাই ঘটেছে।”
ওই মহিলার মৃত্যুর পরই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর চার্জশিট তৈরি করা হয় অভিযুক্ত সুশীল কুমার ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা আদালতে আবেদন করেন জামিনের। কিন্তু সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় স্থানীয় আদালত। এরপরই তাঁরা হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেন। অভিযুক্তের দাবি ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।