সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিককালে ভারতে কার্যকর কৃষি আইনগুলি (Farm Laws) কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ঠিকই, তবে দুর্বল কৃষকদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তারও প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন আইএমএফের (IMF) মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, তিনি বলেছেন, ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রে সংস্কারের দরকার রয়েছে। এর মধ্যে পরিকাঠামো উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
গতবছর সেপ্টেম্বরে নয়া তিন কৃষি আইন কার্যকর করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকার। এই তিনটি আইন হল– ১) কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন, ২) অত্যাবশ্যক পণ্য আইন এবং ৩) কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত রাখতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি। সরকারের দাবি এই আইনের হাত ধরে নতুন ধরনের কৃষি ব্যবস্থা সামনে আসবে। এই বিলের দ্বারা কৃষকরা মান্ডির বাইরে ফসল বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আন্তঃরাজ্য ব্যবসার ক্ষেত্রেও জোর দেওয়া হয়েছে। প্রান্তিক চাষিরা যাতে সরাসারি খুচরো ব্যবসা ও কৃষি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন, তার চেষ্টা করছে এই বন্দোবস্ত।
[আরও পড়ুন: ফাঁসি হোক লালকেল্লার ঘটনায় জড়িত কৃষক নেতাদের, অমিত শাহকে চিঠি বিজেপি বিধায়কের]
মঙ্গলবার এক প্রশ্নের উত্তরে গোপীনাথ (Gita Gopinath) বলেন, এই তিনটি কৃষি আইন মূলত বিপণন ক্ষেত্রের। এটা কৃষকদের বাজার বিস্তৃত করবে। করপ্রদান ছাড়াই কৃষকরা মান্ডির বাইরে তাঁদের ফসল যে কোনও জায়গায় বিক্রি করতে পারবেন। আমাদের তো মনে হচ্ছে, তাতে কৃষকদের আয়ের সুযোগ বাড়বে।” তিনি আরও বলেন, “সব সংস্কারের ক্ষেত্রেই দিনবদলের সময়টিতে কিছু সমস্যা হয়। এই সময় যাতে দুর্বল কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেদিকে নিবিড় দৃষ্টি দিতে হবে। তাঁদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়।” বিশ্ব ব্যাংকের অর্থনীতিবিদের এই প্রশংসা নিঃসন্দেহে সরকারকে স্বস্তি দেবে। কারণ, কৃষি আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই বহু জলঘোলা হয়েছে। সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রায় আড়াই মাস ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কৃষকরা। প্রজাতন্ত্র দিবসে হিংসার আগে পর্যন্ত এই কৃষক বিক্ষোভের পিছনে ব্যাপক জনসমর্থনও ছিল। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ওই অর্থনীতিবিদের বয়ান কেন্দ্রকে কৃষি আইনের পক্ষে প্রচারে সাহায্য করবে।