সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম চন্দ্রাভিযান করে গোটা দুনিয়াকে চমক দিয়েছিল ইসরো। ইসরোর তৈরি স্যাটেলাইট ‘চন্দ্রযান ১’-এর উৎক্ষেপণ সফলভাবেই হয়েছিল। কিন্তু ‘চন্দ্রযান ২’- এর অভিযানে একের পর এক জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। ইসরো এবারে চাঁদের মাটিতে মহাকাশযানটিকে অবতরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। কিন্তু পরপর দুটি মিশন ব্যর্থ হওয়ায় এই মিশন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
[কাজ থেকে ‘ছুটি’ নিয়ে পিকনিকে হাতির দল, ভাইরাল ভিডিও]
পূর্বঘোষণা মতো চন্দ্রাভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল এবছরের অক্টোবর মাসে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে আগামী বছরের শুরুর দিক ছাড়া ‘চন্দ্রযান ২’- এর মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ করার। কিন্তু কেন পিছলো চন্দ্রযান মিশন ? এর উত্তর খুঁজতে হলে চলে যেতে হবে গত বছরের গোড়ার দিকে। বছরের শুরুতেই GSAT-6(A) উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করেছিল। মূলত সেনার প্রয়োজনে তথ্য আদানপ্রদানকারী এই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু উৎক্ষেপণের কিছুদিনের মধ্যেই উপগ্রহটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। পরে এর জন্য অতিরিক্ত একটি উপগ্রহ GSAT-11 কে মহাকাশে পাঠাতে হয়। গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও PSLV-C39 উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কাজটি সফলভাবে করতে পারেনি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এই জোড়া ব্যর্থতার জেরে এবার সাবধানতা অবলম্বনের পন্থা নিয়েছে ইসরো।
[এবার সবুজায়নের দিশা দেখাবেন গণপতি, মূর্তি তৈরিতে অভিনব পরিকল্পনা শিল্পীর]
আসলে চন্দ্রযান-১ এবং মঙ্গলযান অভিযানের পর এটিই ইসরোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান। এই প্রথম পৃথিবীর বাইরে ভিনগ্রহে মহাকাশযান অবতরণের পরিকল্পনা করেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ ওর্গানাইজেশন। ইসরোর এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মিশন। আমরা কোনওভাবেই এই রিসার্জে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইনা। জানুয়ারির মধ্যেও যদি উৎক্ষেপণ সম্ভব না হয়, তাহলে আরও বেশ কয়েকমাস পিছিয়ে যেতে পারে ৮০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি।