সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আট বছরের রেকর্ড ভেঙে নতুন নজির গড়ল দেশের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (Retail Inflation)। মার্চ মাসে যেখানে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.৯৫ শতাংশ। সেখানে এপ্রিলের হিসেবে তা একলাফে বেড়ে দাঁড়াল ৭.৭৯ শতাংশে। দেখতে দেখতে পরপর চার মাসেই বাড়ল মুদ্রাস্ফীতির হার। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
কিন্তু কেন এই মুদ্রাস্ফীতি? আসলে গত কয়েক মাসে জ্বালানি তেল ও রান্নার গ্যাসের পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় নানা জিনিসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। ভোজ্য তেল থেকে লেবু কিংবা মুরগির মাংস- আমজনতার হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে সব কিছু। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি যে কমবে না তা বোঝাই যাচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে অশালীন পোস্ট, ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে FIR]
খোদ আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাশেরও তেমনই আশঙ্কা ছিল। এপ্রিল মাসের হিসেব তাই ওয়াকিবহাল মহলকে বিস্মিত করছে না। গত মাসের নিরিখে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়েছে ০.৮৪ শতাংশ। অথচ গত বছরের এপ্রিলেই মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৪.২৩ শতাংশে। গত কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতি কীভাবে বেড়েছে তার প্রমাণ এই পরিসংখ্যান থেকেই পাওয়া যাচ্ছে।
আরবিআইয়ের বেঁধে দেওয়া দেওয়া মুদ্রাস্ফীতির ঊর্ধ্বসীমা ৬ শতাংশ। টলারেন্স ব্যান্ড রয়েছে ২-৬ শতাংশে। সেই সীমা গত চার মাস ধরেই টপকে গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল যথাক্রমে ৬.০১ শতাংশ ও ৬.০৭ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: ডাক্তার হয়ে দৃষ্টিহীন বাবার চিকিৎসা করতে চাই, ছাত্রীর কথা শুনে আবেগে গলা বুজে এল মোদির]
খাদ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রেও একই ছবি। এপ্রিলে এই ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার এসে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৮ শতাংশে। যা মার্চের থেকে (৭.৬৮ শতাংশ) ০.৭ শতাংশ বেশি। গত বছরের এপ্রিলে এই হার ছিল মাত্র ১.৯৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য় বলছে মার্চ মাসে শিল্প উৎপাদন বেড়েছে ১.৯ শতাংশ। এর ফলে ২০২১-২২ আর্থিক বছরে উৎপাদনের হার ১১.৩ শতাংশ।