সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসঙ্গে ১০৪টি উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারত। তা নিয়ে চোখ টাটালেও, অবশেষে ভারতের কৃতিত্ব মেনে নিল তারা। সোমবার চিন প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেই ফেললেন, “উপগ্রহ উৎক্ষেপণ প্রযুক্তিতে চিনের থেকে ঢের এগিয়ে ভারত। বিশ্ব বাজারে ক্ষুদ্র স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের যে বাজার রয়েছে, তা ধরতে সক্ষম হয়েছে ভারত।”
(ভারতীয় বায়ুসেনাকে অজেয় করতে হ্যালের এক ডজন পদক্ষেপ)
তবে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিতে ভারতের এগিয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন চিনও এখন নড়েচড়ে বসেছে। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রযুক্তির বাণিজ্যিকীকরণ হওয়ায় এবার ভারত ও চিনের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে বলে জানিয়েছেন সাংহাই ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারের ডিরেক্টর জ্যাং ইয়ং। বেজিংও এবার বাণিজ্যিক উপগ্রহের উৎক্ষেপণের দিকে বাড়তি জোর দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে মঙ্গলাভিযানে ইসরোর সাফল্যকেও ভাল চোখে দেখেনি চিন।
(এবার শুক্রগ্রহে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো)
১৯৫৭ সালে মহাকাশে প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক ওয়ান পাঠিয়েছিল সোভিয়েত দেশ৷ এতদিন পর্যন্ত একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৩৭টি উপগ্রহ পাঠানোর রেকর্ড ছিল রাশিয়ার৷ কিন্তু, গত বুধবার রাশিয়াকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে ভারত৷ তা-ও তূলনামূলক অনেক কম খরচে৷ খুব শীঘ্রই আমেরিকার নাসা, ইওরোপের ইসা, রাশিয়ার রসকসমস এমনকী চিনও মহাকাশে উপগ্রহ পাঠাতে নিয়মিত সাহায্য নিতে চলেছে ইসরোর৷ আর সে জন্য ইসরোকে উপযুক্ত মূল্য দিতেও কসুর করবে না তারা৷ কারণ, বুধবার মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বরেকর্ড গড়ে ইসরো বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের পিএসএলভি সি৩৭ রকেটই এ ব্যাপারে গোটা বিশ্বে যোগ্যতম৷ এবং পকেটবান্ধবও৷
The post ইসরো সেরা, অবশেষে স্বীকার করল চিন appeared first on Sangbad Pratidin.