সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমকামিতার শাস্তি! দুই ‘প্রেমী’ যুবককে প্রকাশ্যেই টানা ৮০ বার বেত্রাঘাত করল চরমপন্থীরা। ঘটনাস্থল ইন্দোনেশিয়ার (Indonesi) আচে প্রদেশ। যেখানে আইনের শাসন চলে না। একমাত্র শরিয়ত আইন কার্যকর রয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত নভেম্বর মাসে একই ঘরে দুজনকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন তাঁদের বাড়ির মালিক। এরপরই প্রশাসনের কাছে খবর যায়। এবং দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। শেষপর্যন্ত শরিয়ত আইন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশ্যেই তাদের বেত্রাঘাত করা হয়। দর্শকাসনে হাজির ছিল তাদের পরিবারের সদস্যরাও। ছেলের উপর অত্যাচার দেখতে দেখতে জ্ঞান হারায় এক যুবকের মা। তারপরেও রেহাই পাননি ওই দুই যুবক।
[আরও পড়ুন ; ড্যানিয়েল পার্লের হত্যাকারী ওমর শেখকে মুক্তি দিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট]
হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েছিলেন তারা। চোখ দিয়ে গড়িয়ে চলেছিল অবিরাম জলের ধারা। রেহাই দেওয়ার আরজি জানাচ্ছিলেন বারবার। কিন্তু তাতেও নরম হননি শাস্তিপ্রদানকারীরা। মাঝে শুধু জলপানের বিরতি দেওয়া হয়েছিল। তারপর ফের জুটেছিল ৪০ ঘা বেত্রাঘাত।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়ায় সমকামিতা নিষিদ্ধ নয়। শুধুমাত্র সুমাত্রা দ্বীপের প্রান্তিক এলাকা আচে প্রদেশেই কার্যকর রয়েছে শরিয়ত আইন। যা শুধু স্থানীয় বাসিন্দা নয়, পর্যটকদের জন্যও কার্যকর। এ প্রসঙ্গে আচে প্রদেশের পাবলিক অর্ডার আধিকারিক হেরু ত্রিউইজানারকো জানিয়েছেন, “আচে প্রদেশে ইসলামিক শরিয়ত আইন-ই শেষকথা। স্থানীয় বাসিন্দারাই শুধু নয়, পর্যটকদেরও এই আইন মেনে চলতে হবে।”
এদিন শুধু দুই সমকামী যুবক নয়, আরও কয়েকজনকে বেত্রাঘাত করে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের কারোর দোষ ছিল মদ্যপান তো কারোর দোষ ছিল মহিলাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ।বারবার আচে প্রদেশের এই আইন বিলোপ করার দাবি জানিয়েছেন বিদ্বজ্জনেরা। তবু রেহাই পাননি আমজনতা। বরং আচে প্রদেশের বহু মানুষই এই বেত্রাঘাত প্রথাকে সমর্থন করেন।