সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র চার মাসের দুধের শিশুকে মায়ের পাশ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। একটি আবাসনের বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছিল শিশুর রক্তাক্ত দেহ। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ২১ বছরের সুনীল ভিলকে। ইন্দোরের রাজওয়াড়া এলাকার সেই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। অবশেষে মিলল সুবিচার। শনিবার ইন্দোরের জেলা আদালত দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল।
[কর্ণাটকে মোদি-রাহুলের মহাযুদ্ধ, কড়া নিরাপত্তায় শুরু ভোটগ্রহণ]
কাঠুয়া ও উন্নাও কাণ্ডের পর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল। তার মাঝেই গত ২০ এপ্রিল ঘটে এই ঘটনা। রাজওয়াড়া ফোর্টের বাইরে শিশুর বাবা-মা বেলুন বিক্রি করেন। রাস্তাতেই তাঁদের বাস। অন্যান্য দিনের মতো সেই রাতেও সন্তানকে পাশে নিয়ে রাস্তাতে ঘুমিয়ে ছিলেন তাঁরা। তখনই ঘুমন্ত শিশুকে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত সুনীল। যে কিনা শিশুর পূর্ব পরিচিত। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ভোর ৪.৪৫ মিনিট নাগাদ শিশুকে নিয়ে ওই বেসমেন্টে ঢোকে অভিযুক্ত। ঘটনার কিছুক্ষণ পর দোকান খুলতে গিয়ে শিশুর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান এক দোকানদার। তাঁর চিৎকারেই ছুটে আসে স্থানীয়রা। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর জানা গিয়েছিল, শিশুর মাথায় ও যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ধর্ষণের প্রমাণও মেলে। সেই মামলাতেই এদিন দোষীকে চূড়ান্ত শাস্তি দিল আদালত। এছাড়াও পসকো আইনের আওতায় একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাকে। এদিন আদালত তার মন্তব্য জানতে চাইলে সে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে থাকে।
[ইতিহাস গড়ে মহাকাশে বাংলাদেশ, ফ্যালকন রকেটে পাড়ি ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উপগ্রহের]
উল্লেখ্য, কাঠুয়া কাণ্ডের পর যত দিন যাচ্ছিল তত প্রশাসনের উপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়ছিল। ফলে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছিল কেন্দ্র। ১২ বছরের কম বয়সি নাবালিকাকে ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ডের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যাতে সম্মতি দিয়ে অর্ডিন্যান্সে সই করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গত ২২ এপ্রিল থেকেই তা দেশে বলবৎ হয়ে যায়। অর্থাৎ নাবালিকা ধর্ষণে অন্যান্য সাজার পাশাপাশি প্রয়োজনে মৃত্যদণ্ডও দিতে পারবে আদালত। নয়া আইন চালু হওয়ার পরই ইন্দোরের ঘটনায় দোষীকে কঠোর শাস্তি দিল ইন্দোর আদালত।
The post ইন্দোরে শিশুকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিল আদালত appeared first on Sangbad Pratidin.