সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বের তাবড় সন্ত্রাসবাদী, কুখ্যাত খুনি, দাগী অপরাধীদের উপর নজর রাখেন যিনি, নিখোঁজ সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট৷ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে চিনের মাটিতে পা রাখার পরেই উধাও হয়ে গিয়েছেন ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট মেং হংওয়েই। ১২ দিন ধরে কোনও খোঁজ নেই চিনের এই রাজনীতিবিদ ও দুঁদে পুলিশকর্তার। হংওয়েইর রহস্যময় অন্তর্ধানের কথা ফ্রান্সে ইন্টারপোলের হেড কোয়ার্টারে জানানোয় খুনের হুমকি পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়া ও ফোনে কেউ তাঁকে একাধিকবার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলে খবর। অপহরণ না কি খুন হলেন ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট? এই প্রশ্নই এখন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সকলকে৷
[‘কাফের বলেই ধর্ষণ করা হত আমাদের’]
ইন্টারপোল অর্থাৎ আন্তর্জাতিক অপরাধীদের ধরতে যে পুলিশ সংস্থা রয়েছে তার প্রধান হংওয়েই চিনে পৌঁছেই কী করে নিখোঁজ হয়ে গেলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার তদন্তে নামছে ফ্রান্সের পুলিশও। ইন্টারপোলের অফিসারদের একাংশের আশঙ্কা, পুরনো শত্রুতার জেরে হংওয়েইকে অপহরণ করে খুন করা হয়নি তো? আবার ইন্টারপোলে নাম থাকা কুখ্যাত কোনও দুষ্কৃতী বা তার দলও প্রতিহিংসার জেরে মেং হংওয়েইকে কিডন্যাপ করার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ। রহস্য আরও জটিল হয়েছে তাঁর স্ত্রী হুমকি পাওয়ায়। ২০১৬ সালে ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট হন ৬৪ বছরের হংওয়েই। চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সিনিয়র নেতা ছিলেন তিনি। নিরাপত্তা বিভাগের মন্ত্রীও ছিলেন। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে অপরাধ আইন ও পুলিশের নানা কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে হংওয়েইয়ের।
[রুশ-ভারত এস-৪০০ চুক্তি নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া আমেরিকার?]
সম্প্রতি একটি কাজে ফ্রান্সের লিওন থেকে চিনে যান তিনি। এরপর তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফ্রান্সের ইন্টারপোল অফিসারদের দাবি, তাঁরা হংওয়েইকে ফ্রান্সে শেষবারের মতো ২৯ সেপ্টেম্বর দেখতে পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফরাসি পুলিশের কাছে স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান তাঁর স্ত্রী। এর পরের দিন থেকেই চিনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তল্লাশি অভিযান শুরু করার কথা ঘোষণা করে ফরাসি পুলিশ। অন্যদিকে শনিবার হংকং-এর একটি গোপন সূত্র দাবি করেছে, মেং হংওয়েইকে আটক করে রেখেছে চিনা প্রশাসন। তাঁকে জেরা করা হবে। যদিও কোন গোপন কুঠুরিতে তাঁকে রাখা হয়েছে। কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই আটক তা জানা যায়নি। তবে হংওয়েই যে নিরাপত্তা দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন সেই দপ্তর ও চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই অন্তর্ধান প্রসঙ্গে কোনও বক্তব্য পেশ করা হয়নি। চিনের আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তিকে আটক করা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধৃতের পরিবারকে সে কথা জানাতে হবে। তবে খুব গোপনীয় কোনও ঘটনার তদন্ত হলে কিছু জানানো হয় না। আটক করার ঘটনা সত্যি হলে ইন্টারপোলের প্রেসিডেন্ট কী এমন অপরাধ করেছেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
The post চিন থেকে নিখোঁজ ইন্টারপোল প্রধান, ঘনাচ্ছে রহস্য appeared first on Sangbad Pratidin.