সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের (India) সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলের অত্যাচার থামাতে হবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ফোন করে এই কথা বলেন ইরানের (Iran) প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি আরও জানান, গাজার (Gaza) মানুষের জন্য ত্রাণ পাঠানো বা সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কোনও পদক্ষেপ করা হলে ইরানও সেখানে সমর্থন জানাবে। প্রসঙ্গত, হামাসের (Hamas) বিরুদ্ধে ইজরায়েলের (Israel) সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরে প্যালেস্টাইনে (Palestine) ত্রাণ পাঠিয়েছিল ভারত। আলোচনার মধ্যে সমস্যা মেটানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে।
সোমবার মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রাইসি। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইরান। সেখানেই রাইসির মন্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়, “গাজার নিপীড়িত মানুষের উপর ইহুদি অন্যায় শেষ করা দরকার। তার জন্য নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে ভারত, সেটাই আশা করি। প্যালেস্তিনীয়দের যেভাবে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে তা দেখে সমগ্র বিশ্ব ক্ষুব্ধ। এই হত্যার প্রভাব পড়বে একাধিক জায়গায়।”
[আরও পড়ুন: ‘লাল’ আতঙ্কের মাঝেই ছত্তিশগড়ে শুরু ভোটদান, রায় দেবে মিজোরামও]
অন্যদিকে, শুক্রবারও মোদির সঙ্গে রাইসির কথা হয়েছে বলে জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী লড়াই নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাইসির সঙ্গে আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ, হিংসা ও যুদ্ধে নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মোদি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন প্রসঙ্গে ভারতের দীর্ঘমেয়াদি অবস্থান ফের স্পষ্ট করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। সংঘাত থামানো ও গাজায় ত্রাণ বিলির বিষয়টি উঠে আসে আলোচনায়। মোদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে মোটেও সরে আসেনি ভারত।
আমেরিকার সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভালো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সুসম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি ডাকতে চাইছে ইরান। কারণ ইজরায়েলের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, যুদ্ধ থামানোর কোনও প্রশ্নই নেই। হামাসকে একেবারে নিঃশেষ করেই থামবে তারা। তবে ইরানের এই আবেদনের উত্তরে ভারতের পদক্ষেপ কী হয় সেদিকে আন্তর্জাতিক মহলের নজর থাকবে।