সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে হামাস বনাম ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের। কিন্তু লড়াই থামার নাম নেই। জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। এর মাঝেই যুদ্ধের ময়দানে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ইরান। এবার ইরাকে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তর উড়িয়ে দিল ইরানের সেনা। এমনকী আক্রমণ আরও তীব্র করার ডাকও দিয়েছে তেহরান।
রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার ইরাকের (Iraq) কুর্দিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত ইজরায়েলের গুপ্তচর বাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা চালানো হয়। এনিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইরান রেভোলিউশনারি গার্ডস। যেখানে মোসাদের (Mossad) নাম উল্লেখ করে জানানো হয়, ‘ওই অঞ্চলে গুপ্তচর বাহিনীর সদর দপ্তরগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো ধ্বংস করার জন্য। ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানানো হয়েছে।’ একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের দমন করতেই এই অভিযান শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের কাছেও আঘাত হানা হয়। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দূতাবাসটির কোনও ক্ষতি হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন এক দুই মার্কিন আধিকারিক। গাজায় ইজরায়ালের হামলায় বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইরান। এই যুদ্ধে তারা প্যালেস্টাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে রয়েছে। গাজায় ইজরায়েল যে অপরাধ করছে তাতে মদত দিচ্ছে আমেরকা। এমনটাই অভিযোগ করেছে ইরান (Iran)।
কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, এই লড়াইয়ে ওয়াশিংটন ইজরায়েলের পক্ষে দাঁড়ালেও তারা প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু নিয়ে উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে, কুর্দিস্তানে এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ইরাক। ইরান বাহিনীর হামলায় ওই অঞ্চলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪ জনের। আহত হয়েছেন ৬ জন। কুর্দিস্তান সরকারের নিরাপত্তা পরিষদ বিবৃতি প্রকাশ করে, ইরানের এই হামলাকে ‘অপরাধ’ বলে গণ্য করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ঘুমের মধ্যেই চিরঘুমে! আমেরিকায় দুই ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যুতে ঘনাল রহস্য]
উল্লেখ্য, যত দিন যাচ্ছে ততই ভয়ংকর হয়ে উঠছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। গাজায় বাড়তে থাকা মৃতের সংখ্যা নিয়ে বহু দেশের সমালোচনার মুখে পড়েছে ইহুদি দেশটি। এদিকে ইজরায়েলে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সন্ত্রাসী সংগঠন হেজবোল্লা ও ইয়েমেনের হাউথি গোষ্ঠী । তাদের মদত দিচ্ছে ইরান। গত বছরের নভেম্বরে নয়া হাইপারসনিক মিসাইল প্রকাশ্যে এনেছিল তেহরান। বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের উপর চাপ বাড়াতেই ইরানের এই পদক্ষেপ। মনে করা হচ্ছে, এবার ইরান যদি সরাসরি এই যুদ্ধে নামে তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।