সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে (Anti-veil protests) উত্তাল ইরান (Iran)। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় আন্দোলনকারীদের এক নতুন উপায়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে। ইসলামিক ধর্মগুরুদের মাথা থেকে পাগড়ি খুলে নেওয়ার পন্থা নিচ্ছেন তাঁরা। আয়াতুল্লা আলি খামেনেইয়ের মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধেই এই প্রতীকী প্রতিবাদ আন্দোলনকারীদের। পরিস্থিতি এমনই, রাতারাতি সেখানে ব্যাকফুটে চলে যেতে হচ্ছে ধর্মগুরুদের। প্রতিবাদী মহিলাদের বলতে শোনা যাচ্ছে, ”যথেষ্ট হয়েছে ধর্মগুরুরা। এবার আপনারা ব্যাগ গুছিয়ে নিন। চলে যান এখান থেকে।”
একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, ট্রেনের ভিতরে এক ধর্মগুরু ধমক দিচ্ছেন এক মহিলাকে। তাঁকে বলছেন, হিজাব পরে নিতে। উত্তরে ওই মহিলা বলছেন, ”আপনি নিজের চরকায় তেল দিন।” তারপর তাঁর দিকে ফোনের ক্যামেরা তাক করতেই ওই ধর্মগুরুকে কার্যত সেখান থেকে সরে যেতে দেখা যাচ্ছে। সেই সময় ওই মহিলাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের সঙ্গে বলতে শোনা যাচ্ছে, ”যা বলার ফোনের সামনে বলুন।” আরেকটি ভিডিওয় একই ভাবে এক বিদ্রোহী তরুণীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”এটা আমার দেশ। আপনারা ঠিক করে দিতে পারেন না আমি হিজাব পরব কি না।”
[আরও পড়ুন: সাড়ে পাঁচ ফুটের কুমিরকে গিলে খেল বার্মিজ পাইথন! অবিশ্বাস্য কাণ্ডে হতবাক বিজ্ঞানীরাও]
প্রসঙ্গত, বছর বাইশের মাহসা আমিনিকে নীতি পুলিশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই তরুণীকে মারধর করা হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে অসুস্থ হন তিনি। আক্রান্ত হন হৃদরোগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। রাজপথে নেমে আসে কাতারে কাতারে মানুষ।
হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়। কেবল মহিলারাই নন, প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন পুরুষরাও। যদিও দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরেও থামছে না ইরান সরকার। বিক্ষোভকারীদের থামানোর জন্য আরও কড়া হচ্ছে সে দেশের সরকার। কিন্তু তাতেও যে আন্দোলনের আঁচ কমার এতটুকু চিহ্ন নেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রতিনিয়তই।