সুব্রত বিশ্বাস: দেশের বৃহত্তর কর্পোরেট সংস্থা IRCTC তাদের কর্মী ছাঁটাই শুরু করল। প্রথম পর্যায়ে ছশোর উপরে সুপারভাইজারকে (হসপিটালিটি) এক মাসের নোটিসে ছাঁটাই করা হয়। ছাঁটাইয়ের ফলে পূর্বাঞ্চলের প্রায় দেড়শো তরুণ-তরুণী কোবিড পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়লেন। আইআরসিটিসি সূত্রে জানানো হয়েছে, ট্রেন না চলায় কাট্যারিং ব্যবস্থা বন্ধ। ফলে কর্মীদের কাজে লাগছে না। এই অবস্থায় বসিয়ে বেতন দেওয়ার পরিস্থিতি সংস্থার না থাকায় ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে।
পূর্বাঞ্চলের সদর কলকাতায়, ফলে সুপারভাইজারের অধিকাংশই কলকাতাবাসী। এদের প্রত্যেকেই হোটেল ম্যানেজমেন্টের ব্যাচেলর। বেতন পরিকাঠামো ভাল হওয়ায় কাজ করতে আগ্রহী তরুণ প্রজন্ম। হাওড়া, শিয়ালদহের ট্রেনগুলি নিয়ে গন্তব্য পর্যন্ত যেতেন সুপারভাইজাররা। হাওড়া থেকে পূর্বা এক্সপ্রেস, গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, আহমেদাবাদ এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, মুম্বই মেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি নিয়ে শেষ পর্যন্ত যেতেন এই সুপারভাইজাররা। সুপারভাইজারের মূল কাজ, খাবারের কোয়ালিটি যাচাই করা। রান্না থেকে খাবার প্যাকিং নজরে রাখা, দাম উপযুক্ত নিচ্ছে কি না তার তদারকি করাই সুপারভাইজারের কাজ।
[আরও পড়ুন: অন্তত দু’মাসের রান্নার গ্যাস মজুতের নির্দেশিকা কাশ্মীরে, যুদ্ধ কি আসন্ন?]
নিয়ম মাফিক ট্রেনগুলি না চলায় ক্যাটারিং পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ। স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিতে ‘রেডি টু ইট’ খাবার দেওয়া হচ্ছে। ফলে সংশ্লিস্ট বিভাগীয় সুপারভাইজাররা কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই তাদের সরানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই। আইআরসিটিসি জানিয়েছে, ছাঁটাই হওয়া সুপারভাইজারদের প্রত্যেকেই দু’বছরের চুক্তিতে নিয়োগ হয়ে ছিলেন। যার মধ্যে পূর্বাঞ্চলের প্রথম ব্যাচটি এক বছরের বেশি আগে নিয়োগ হয়েছিল। দ্বিতীয়টি চার মাসের মতো।
[আরও পড়ুন: ভাগ্যের পরিহাস! সড়ক নির্মাণ মন্ত্রীর বাড়িতেই ঢুকল বর্ষার জল, হাসির রোল নেটদুনিয়ায়]
The post বাড়ি বসে বেতন আর নয়, ৬০০’র বেশি সুপারভাইজারকে ছাঁটাই করল IRCTC appeared first on Sangbad Pratidin.