shono
Advertisement

কোভিডের ধাঁচে পাকিস্তানের গবেষণাগারে অন্য ভাইরাসের চাষ করছে চিন! চাঞ্চল্য রিপোর্টে

কী বলছে রিপোর্ট?
Posted: 05:03 PM Apr 15, 2022Updated: 05:32 PM Apr 15, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড-১৯’এর (COVID-19) জন্মদাতা চিনের ইউহানের গবেষণাগার, এমনই বিশ্বাস ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। এ নিয়ে সংশয়ও রয়েছে আরেকাংশের। এবার সেসব বিশেষজ্ঞরাই শোনালেন নতুন আশঙ্কার কথা। পাকিস্তান (Pakistan) সেনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ল্যাবে এবার কোভিডের ধাঁচে ভাইরাস তৈরি নিয়ে গবেষণা চালাবে চিন (China)। এর জন্য চিনা কমিউনিস্ট পার্টি আরও উন্নত প্রযুক্তির পরিকাঠামো তৈরি করছে বলে খবর। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে।

Advertisement

সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিন-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব বেড়েছে। কাছাকাছি এসেছে দু’দেশ। এই অবস্থায় তথ্য-প্রযুক্তি ও গবেষণা ক্ষেত্রেও পাকিস্তান নির্ভরশীল চিনের উপর। সেই সুযোগেই ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে পাকিস্তানের ডিফেন্স সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অর্গানাইজেশন (DETSO)। এই সংগঠন সম্পূর্ণ পাকিস্তান সেনার নিয়ন্ত্রণাধীন। সেখানেই নয়া ভাইরাস নিয়ে গবেষণা শুরু করছে চিন। বলা হচ্ছে, কোভিড ভাইরাসের ধাঁচে সেখানে তৈরি হবে অন্য একটি। পূর্ব এশিয়া বিশেষজ্ঞ রায়ান ক্লার্ক নামে এক গবেষকের কথায়, ”ইউহানের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি এবং পাকিস্তানের ডেটসোয় কী চলছে না চলছে, তা যদি কেউ পরীক্ষা না করে তাহলে কিন্তু মানবজাতির বড়সড় বিপর্যয় নেমে আসবে।”

[আরও পড়ুন: সংঘর্ষে উত্তাল জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ, মধ্যপ্রাচ্যে ফের ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ]

২০১৯ সালের শেষে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। তার আঁতুরঘর চিনের ইউহান। বলা হয়, ইউহানের একটি সামুদ্রিক প্রাণীর বাজার থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। তবে একাংশের মত, বাজার থেকে সংক্রমণ ছড়ায়নি। তা ইউহানের ভাইরাস নিয়ে গবেষণার সময় কৃত্রিমভাবে তা গবেষণাগারে তৈরি করে বিশ্বে ত্রাস ছড়ানো হয়েছে। আর এই ভাইরাস তৈরি হয়েছে ইউহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে। এই গবেষণাগারের এক মহিলা বিজ্ঞানীই তা ফাঁস করেছিলেন। যার জেরে তাঁকে সরকারি কোপে পড়তে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও ইউহানে প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছিল এ বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানের জন্য। এবার সেই ধাঁচেই অন্য একটি ভাইরাসের চাষ করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: পয়লা বৈশাখে বেনাপোল বন্দরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, আগুনে ভস্মীভূত ব্লিচিং পাউডার ভরতি পাঁচটি ট্রাক]

পাকিস্তানের DETSO’র একটি ল্যাব রয়েছে, যা BSL-4 নামে পরিচিত। এখানে সমস্ত বিষাক্ত, সংক্রামক কণা নিয়ে কাজ হয়। বিশেষত বায়ুতে এসব বিষাক্ত কণা মিশে গেলে কী প্রভাব পড়ে, তা নিয়ে গবেষণা চলে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মত, আর তার তলে তলেই ভাইরাসের নতুন মারণাস্ত্র তৈরি করছে চিন-পাকিস্তান। যা পৃথিবীকে আরও দ্রুত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement