সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাড়াটে যোদ্ধার দল ওয়াগনার বাহিনীর তাড়া খেয়ে রাশিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), দাবি পাশ্চাত্যের একাধিক সংবাদমাধ্যমের। উল্লেখ্য, একদা পুতিন অনুগত ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান অলিগার্চ ইয়েভজেনি প্রিগোজিন (Yevgeny Prigozhin) গৃহযুদ্ধের ডাক দিয়েছেন। একাধিক রুশ শহর দখলের পথে তাঁর বিদ্রোহী যোদ্ধার দল। নিজের বাহিনীর প্রতি প্রিগোজিনের হুঙ্কার, “আমাদের পথে যা আসবে তাকেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দাও।” পালটা প্রতিরোধ তৈরি করছে রুশ সেনা। জল্পনা, সংঘর্ষের এই আবহে দেশে ছেড়েছেন ‘একনায়ক’ পুতিন। যদিও ক্রেমলিন বিবৃতি দিয়েছে, রাজধানী মস্কোতেই আছেন পুতিন। প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে।
‘পুতিনের রাঁধুনি’ই এখন (এককালে ক্রেমলিনে খাবার সরবরাহ করত প্রিগোজিনেরই রেস্তোরাঁ ও কেটারিং সংস্থা) রাশিয়ার প্রেসিডেন্টর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছেন। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া টেলিগ্রামে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান প্রিগোজিন হুঙ্কার দিয়েছেন, “আনুষ্ঠানিক ভাবে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।” ভাড়াটে বাহিনীর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে আরও বলা হয়েছে, “আমরা দেশভক্ত। মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার মতো মারাত্মক ভুল করেছেন প্রেসিডেন্ট।” এই মন্তব্যে পুতিনকে হুমকির শামিল, মনে করছেন রুশ কূটনীতিকরা। এই আবহেই প্রাণ বাঁচাতে রাশিয়ার এক প্রেসিডেন্ট দেশ ছেড়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছে। তিনি ভ্লাদিমির পুতিন বলেই ধারণা বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমের। যদিও ক্রেমলিন জানিয়েছে, ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট রাজধানীতেই আছেন।
[আরও পড়ুন: সীমান্ত-সন্ত্রাস নিয়ে একসুর ভারত-আমেরিকার, রেগে লাল ‘মদতদাতা’ পাকিস্তান]
প্রসঙ্গত, সোভিয়েত ইউনিয়নে ডাকাতি ও জালিয়াতির অভিযোগে ৯ বছর জেলে কাটালেও পরবর্তী সময়ে পুতিনের ছত্রছায়ায় ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকেন প্রিগোজিন। একদিকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, অন্যদিকে রুশ প্রশাসনের অন্ধকার দিক সম্পর্কে জেনে ফেলা। ধীরে ধীরে ওয়াগনার বাহিনীর সর্বেসর্বা হয়ে আজ প্রিগোজিন হয়ে উঠেছেন পুতিনের মস্ত অস্বস্তির কারণ। যদিও সিরিয়া, লিবিয়া, ইউক্রেনে যুদ্ধ করেছে তাঁর ভাড়াটে সেনাবাহিনী। এবার সেই সেনাবাহিনীই দখল করতে চাইছে রাশিয়ার একের পর এক শহর। যাদের রুখতে মরিয়া পুতিন। একটি পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের দাবি, এরপরেও ইউক্রেন সীমান্তের অদূরে পশ্চিম রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহর ভোরোনেজ দখল করেছে ওয়াগনার বাহিনী।