অর্ণব আইচ: ধর্মতলায় অশান্তি, পুলিশকে আক্রমণের জের। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ১৮ জনকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তাকে হোমে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে ধৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আদালতের বাইরে বিক্ষোভে শামিল আইএসএফ কর্মীরা।
গত শুক্রবার রাত থেকে ভাঙড়ে গুলি চলাকে কেন্দ্র করে অশান্তির সূত্রপাত। শনিবার ধর্মতলায় দলীয় কর্মসূচি ছিল আইএসএফের। অভিযোগ, সেই সময় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। তার প্রতিবাদে ধর্মতলায় অবরোধ শুরু করে আইএসএফ। ব্যস্ততম রাস্তায় অবরোধ হঠাতে এগিয়ে আসে পুলিশ। তারপর আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ কার্যত খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। জখম হন বউবাজার থানার ওসি এবং অ্যাডিশনাল ওসি। তাঁরা ভরতি হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ‘প্যারোলে মুক্তি পাওয়া রাম রহিমের অধিকার’, ধর্ষকের মুক্তি নিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক]
পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে আইএসএফের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে পুলিশ আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ মোট ৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে হেয়ার স্ট্রিট, ৬ জন নিউ মার্কেট এবং বাকিদের কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের রবিবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। সেখানে ধৃতদের আইনজীবী জামিনের আরজি জানান। এদিকে পুলিশের তরফে ধৃতদের নিজেদের হেফজতে রাখার আরজি জানায়। দুপক্ষের বক্তব্য বিবেচনা করে ধৃত ১৯ জনের মধ্যে নওশাদ-সহ ১৮ জনকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি বলেন, “ভাঙড়ে যা হচ্ছে তা একেবারেই ঠিক নয়। এটা কখনই কাম্য নয়।”