সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইসিসের আতুঁরঘর সিরিয়া। তবে তাদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ এখন আর শুধুমাত্র সিরিয়াতেই সীমাবদ্ধ নেই। আইএস আতঙ্ক গ্রাস করেছে ইংল্যান্ড, ফ্রান্সের মতো পশ্চিমী দুনিয়ার দেশগুলিকেও। ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার পপ কনসার্টে হামলাই হোক কিংবা লন্ডন ব্রিজে ট্রাকের চাকা নিরীহ পথচারীদের পিষে মারাই হোক, সবকটি ঘটনায়ই নাম জড়িয়েছে এই ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীর। ফ্রান্সের নিসেও একই কায়দায় হামলা চালিয়েছে আইএস। এবার কি ভারতেও হামলা চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিল ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনটি? শুক্রবার শ্রীনগরের জাকুরা এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন একজন সাব ইন্সপেক্টর। আইএসের সংবাদ সংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সির দাবি, তারাই কাশ্মীরের ওই হামলা চালিয়েছে।
[‘গোটা বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিল বান্দিপোরা এনকাউন্টার’]
দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জাল বিস্তারের কথা বলে আসছে আইএস। সংগঠনের প্রতিষ্ঠালগ্নে গ্লোবাল ইসলামিক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। সেই গ্লোবাল ইসলামিক কাউন্সিলে কাশ্মীর ও গুজরাটও ছিল। বস্তুত, গত কয়েক মাস ধরেই কাশ্মীরের আইএসের সমর্থনের রীতিমতো প্রচার চলছে। উপত্যকায় বেশ কয়েকবার আইএসের পতাকাও দেখা গিয়েছে। তবে এতদিন বিষয়টি সেভাবে গুরুত্ব দিতে চাননি নিরাপত্তা বাহিনীর পদস্থ কর্তারা। তাঁদের দাবি ছিল, কাশ্মীরে আইএসের কোনও সংগঠন নেই। শুধুমাত্র প্রচারের জন্য উপত্যকায় বিভিন্ন জায়গায় এই ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনটি পতাকা ওড়ানো হচ্ছে। কিন্তু, এখন যে কাশ্মীরের আইএস-এর উপস্থিতির বিষয়টি আর হেলাফেলা করা যাবে না, তা ভালই বুঝতে পারছেন গোয়েন্দারা।
[ভারতীয় ছাত্রীর ছবি বিকৃত করায় বন্ধ ‘পাকিস্তান ডিফেন্স’-এর টুইটার অ্যাকাউন্ট]
গত শুক্রবার শ্রীনগরের জাকুয়া এলাকায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই হয়। শহিদ হন কাশ্মীর পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ইমরান তক। গুরুতর আহত হন আরও এক পুলিশকর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় পালিয়ে গেলেও, পরে মারা যায় মুগেস আহমেদ মীর নামে এক জঙ্গি। গ্রেপ্তার করা হয় আরও এক জঙ্গিকে। আইএসের সংবাদ সংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সির দাবি, তারা এই হামলা চালিয়েছে।
[কাশ্মীরে বড় সাফল্য, সেনার গুলিতে নিকেশ মুম্বই হামলার মূলচক্রী লকভির ভাইপো]
পুলিশের দাবি, নিহত জঙ্গি মুগেগ প্রথমে জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিন্তু, সম্প্রতি জাকির মুসার নেতৃত্বাধীন জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দেয় সে। সেই জঙ্গি গোষ্ঠীটি আবার কাশ্মীরের আল-কায়দার শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, আইএস কাশ্মীরের হামলার দায় স্বীকার করার পর, গোটা বিষয়টি নয়া মোড় নিয়েছে। ফের নতুন করে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। নেহাতই প্রচারের জন্য এই দাবি করা হয়েছে নাকি সত্যিই ঘটনার সঙ্গে আইেস জড়িত, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
[‘আর ক’টা পাকিস্তান তৈরি করবেন? ভারতকে আর কত টুকরো করবেন?’]