সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরিয়া ও ইরাকে পরাজিত হয়েছে ইসলামিক স্টেট (ISIS)। বিশ্বজুড়ে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়েই মার্কিন ফৌজের হাতে নিহত হয়েছে সংগঠনটির প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি। তবে বিপদ যে এখনও কাটেনি তা স্পষ্ট। এবার আফগানিস্তানে ফণা তুলছে আইএস। এবং কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও তা আমেরিকার বিপদের কারণ হয় উঠতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ইউএস জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ জেনারেল মার্ক মাইলি।
[আরও পড়ুন: পরিসংখ্যানের তুলনায় অন্তত ১০ গুণ বেশি প্রাণহানি, কোভিড মৃত্যুতে শীর্ষে ভারত, রিপোর্টে দাবি WHO’র]
মঙ্গলবার ইসলামিক স্টেটের উত্থান নিয়ে মার্কিন সেনেটে বিবৃতি দেন জেনারেল মাইলি। ওই সময় সেখানে উপস্থিতি ছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। বিবৃতিতে মাইলি বলেন, “আফগানিস্তানে শক্তি সংগ্রহ করতে নেমে পড়েছে ইসলামিক স্টেট ও অন্য জেহাদি সংগঠনগুলি। তবে তারা এখনও পর্যন্ত সেই অর্থে সফল হয়নি। এবং আমেরিকার মূল ভূখণ্ডের জন্য বিশেষ ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারেনি। তবে জঙ্গিরা যদি হামলার প্রস্তুতি নেয় তাদের কড়া জবাব দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “এখনও পর্যন্ত আমরা সন্ত্রাসবাদীদের বেশ কয়েকটি আশ্রয়স্থল গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কয়েকটি স্কুল ও মসজিদে তারা (আইএস) হামলা চালালেও বিশেষ কিছু সুবিধা করে উঠতে পারেনি।”
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এর আগেও আফগানিস্তানে আইএসয়ের উত্থান নিয়ে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাককেঞ্জি। তিনি জানিয়েছিলেন যে, আফগানিস্তানে দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি করছে ইসলামিক স্টেট। ওই সংগঠনটিকে কিছুতেই আটকাতে পারছে না তালিবান। বিশেষ করে ক্ষমতা দখলের পর পারওয়ান ও পুল-ই-চারকি জেল থেকে আইএস জঙ্গিদের ছেড়ে দেয় তালিবান। এবার সেই কর্মের ফলই ভুগতে হচ্ছে তাদের।
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তানে আল কায়দা ও তালিবানকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আইএস। বেশকয়েকবার আল কায়দার সঙ্গে লড়াই হয়েছে আইএস জেহাদিদের। বহু আল কায়দা জঙ্গি ইতিমধ্যে আইএসে নাম লিখিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা।