সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা পাকিস্তান নয়, শুধু কাশ্মীরকেই খিলাফতের অধীনে চায় জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট৷ ভারত ও পাকিস্তানের অধিকারে থাকা দুই কাশ্মীরকেই তারা খিলাফতের অধীনে আনতে চায়৷
খিলাফত মানে, হানাফি বা সালাফি মতাবলম্বী ধর্মগুরুর নেতৃত্বে থেকে কঠোর ইসলামিক অনুশাসন প্রতিষ্ঠা৷ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের হয়ে নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ করত ইন্ডিয়ান অয়েলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মহম্মদ সিরাজুদ্দিন৷ সাইবার জেহাদি সিরাজুদ্দিন ওয়েব চ্যাটের মাধ্যমে সমমানসিকতার খিলাফতপন্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ভারত ও এশিয়াজুড়ে সক্রিয় নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল৷ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে সক্রিয় আইএস জঙ্গি নেতা জুনদুল্লা মিনাকে চ্যাটে সিরাজুদ্দিন জানিয়েছে, “ইনশাআল্লা, কাশ্মীরে খিলাফত হবেই হবে৷ কাফের ভারতীয় সেনাদের কোতল করে কাশ্মীর ছিনিয়ে নেওয়া হবে৷ এই লক্ষ্যে বাধা দিলে পাকিস্তানি জেহাদি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদিন ও জইশ-ই-মহম্মদ, কাউকেই ছাড়া হবে না৷ ওদেরও ধরে ধরে খতম করা হবে৷”
কারণ ওরা পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী৷ ওরা পাকিস্তানের স্বার্থে কাজ করছে৷ কিন্তু খিলাফত জাতীয়তাবাদের বা কোনও দেশের আবেগের কোনও জায়গা নেই৷ খিলাফত মানে শুধুই কঠোর ইসলামিক অনুশাসন৷ সেটাই দেশ অর্থাৎ ইসলামিক সাম্রাজ্য৷ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি সিরাজুদ্দিনের একাধিক নামে, বেনামে অ্যাকাউন্ট ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ সেগুলিতে দীর্ঘদিন নজরদারি চালিয়ে বিস্ফোরক নানা তথ্য এনআইএ-এর হাতে আসে৷ ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সভাপতি অশোক সিংঘল প্রয়াত হলে তা ‘দারুণ খবর’ বলে উল্লেখ করে সাইবার জেহাদিদের সঙ্গে অনলাইনে সেলিব্রেট করে সিরাজুদ্দিন৷
The post কাশ্মীরকেই খিলাফতে চায় ইসলামিক স্টেট appeared first on Sangbad Pratidin.