গৌতম ব্রহ্ম: ‘যত মত তত পথ’-এর অপব্যাখ্যা বিতর্কে চাপে পড়ে ক্ষমা চেয়ে এবার ভিডিও বার্তা দিলেন ইসকনের বিতর্কিত অমোঘ লীলা দাস (Amogh Lila Das)। শনিবার এক ভিডিও বার্তায় তাঁর বক্তব্য, ”সম্প্রতি শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে আমার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। আমি যা যা বলেছি, ভুল বলেছি। অনুরাগীরা অনেকেই আঘাত পেয়েছেন। আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কথা দিচ্ছি, ভবিষ্যতে কখনও এমন বলব না।” আপাতত একমাসের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ (ISKCON)। অমোঘ লীলা নিজেও জনসংযোগ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। কিন্তু তাতে বিতর্কের আঁচ বিন্দুমাত্র কমেনি। আর সেই চাপেই সম্ভবত এবার তিনি ক্ষমা চেয়ে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে ভিডিও বার্তা দিলেন।
ঘটনা ঠিক কী? ইসকনের ব্রহ্মচারী এইচজি অমোঘ লীলা দাসকে নিয়ে এত বিতর্ক কেন? কয়েকদিন আগে এই অমোঘ লীলা ব্রহ্মচারীর একটি ভিডিও (Video)প্রকাশ্যে আসে। যাতে তাঁকে স্বামী বিবেকানন্দ ও রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের একাধিক বক্তব্যের সরাসরি বিরোধিতা করেন তিনি। বিবেকানন্দের ধূমপানের প্রসঙ্গ তুলে ভোগবাদ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যও করেন। নবীন ব্রহ্মচারীর বক্তব্যে আহত হন বহু ভক্ত, ব্রহ্মচারী, গেরুয়াধারীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে। বিদ্যুতের গতিতে জনমত বাড়তে থাকে। সাংবাদিক কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh) সেই সন্ন্যাসীর ক্ষমা প্রার্থনার দাবি তোলেন।
[আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরে ভারতের আয়ারল্যান্ড সফর, টিম ইন্ডিয়া পাচ্ছে নতুন অধিনায়ক?]
বিতর্ক উঠতেই কড়া পদক্ষেপ নেয় ইসকন কর্তৃপক্ষ। এইচজি অমোঘ লীলা প্রভুকে একমাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। বলা হয়, একমাস তাঁকে যে কোনওরকম জনসংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে। কোথাও কোনও বক্তব্য দেওয়া যাবে না। এতে অমোঘ লীলার কতটা শুদ্ধিকরণ হল, তা বুঝে তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত। সংস্থার তরফে ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এই খবর জানিয়েছিলেন। তবে এবার অমোঘ লীলা নিজে বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। জানালেন, তাঁর বক্তব্য কাউকে আঘাত করে থাকলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এমনটা আর করবেন না।