স্টাফ রিপোর্টার: অদ্ভুত এক পরিস্থিতির মধ্যে ডার্বি খেলতে নামবে এটিকে মোহনবাগান এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথম লেগে সবুজ-মেরুনের কাছে ৩-০ গোলে হারার পর মনে হয়েছিল হয়তো সেকেন্ড লেগে বদলা নেবে লাল-হলুদ। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। বরং আরও খারাপ হয়েছে। ১২ নম্বর ম্যাচে এসে এই মরশুমের আইএসএলে প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ার পর যখন মনে হচ্ছিল, বোধহয় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুরো দলটা। ঠিক তখনই হায়দরাবাদ এফসির কাছে হারতে হয়েছে চার গোলে! ফলে শনিবার ডার্বির আগে দলকে যতটা সম্ভব মেরামত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন লাল-হলুদ কোচ মারিও রিভেরা (Mario Rivera)। আর সেই মেরামতের সূত্রেই মঙ্গলবার স্লোভানিয়ান মিডফিল্ডার আমিরকে সরিয়ে দিয়ে সই করানো হল, কোচের পছন্দ করে নিয়ে আসা স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফ্রান্সিসকো জোস সোটাকে।
উলটোদিকে, এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) ক্ষেত্রে চাপটা অন্য জায়গায়। বিদায়ী কোচ হাবাসের যেহেতু ডার্বিতে রেকর্ড ভীষণই ভাল, তাই নতুন কোচ ফেরান্দোর উপর ডার্বি জেতার একটা চাপ থাকবেই। তারসঙ্গে দলকে প্রথম চারেও রাখার চাপ। সেখানে অনেক খোলা মনে খেলতে পারবেন মারিও রিভেরা। হেরে গেলে আর নতুন করে মাথায় বাজ ভেঙে পড়বে না। জিততে পারলে, সমর্থকদের কাছে হিরো হয়ে যাওয়ার সুযোগ। আর তাই তড়িঘড়ি করে নতুন বিদেশি সই করানো।
[আরও পড়ুন: প্রথমবার বাবা হলেন যুবরাজ সিং, শুভেচ্ছার বন্য়ায় ভাসছেন তারকা দম্পতি]
গতকাল লাল-হলুদে সই করার পর এসসি ইস্টবেঙ্গলের নতুন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার বলেন, “এসসি ইস্টবেঙ্গলে (SC East Bengal) সই করার আগেই জেনেছি, এদের জনসমর্থন প্রচুর। সঙ্গে ক্লাবের সুদীর্ঘ ইতিহাস। চেষ্টা করব, আমার অভিজ্ঞতা এবং পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে সাহায্য করতে। দলের নতুন বিদেশি ফুটবলার সম্পর্কে কোচ মারিও রিভেরা বলছেন, “স্পেনের বেশ কিছু ভাল ক্লাবে খেলেছে ফ্রান্সিসকো। ওর অভিজ্ঞতার জন্যই, মিডফিল্ডে আমাদের অতিরিক্তি শক্তি যোগ হল।”
ডার্বির আগে নতুন ফুটবলার সই করিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল দলকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালালেও আপাতত এটিকে মোহনবাগানে এরকম কোনও খবর নেই। ফেরান্দো বরং চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, ধরে রাখা দলকে কিভাবে গুছিয়ে নিয়ে শনিবার ডার্বি (ISL Derby) ম্যাচে মাঠে নামতে পারেন। কারণ করোনার জন্য রয় কৃষ্ণরা বহুদিন মাঠের বাইরে রয়েছেন। মাঠে এলেও, ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে কিছুটা সময় লাগবে। ফেরান্দো তাই চেষ্টা চালাচ্ছেন, ডার্বির আগে পুরো দলটাকে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব ম্যাচ ফিটনেসের চূড়ান্ত জায়গায় নিয়ে যেতে।
[আরও পড়ুন: মুকুটে নতুন পালক, পরম বিশিষ্ট সেবা পদকে সম্মানিত অলিম্পিক্স সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া]
এদিকে, হায়দরাবাদ এফসির কাছে ৪-০ গোলে দুর্মুশ হওয়ার পরেও ভেঙে পড়তে রাজি নন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ। বলছিলেন, “চার গোল খাওয়াটা অবশ্যই আমাদের জন্য বাজে ফল। কিন্তু আমার ফুটবলাররা গোল আটকানোর জন্য মাঠের ভিতর সেরাটা দিয়েছে। একজন কোচ হিসেবে তাই ফুটবলারদের এই চেষ্টাটা আমাকে খুশি করেছে। চেষ্টা করছি, ডার্বি ম্যাচেও ফুটবলারদের এই চেষ্টাটা বজায় থাকবে।”