সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। বাড়ছে মৃত্যুমিছিল। চলতি সপ্তাহে নাকি গাজায় হামলার ধার তীব্র করেছে ইজরায়েলি সেনা। আক্রমণ শানানোর জন্য কোনও কিছুই অবশিষ্ট রাখছে না তারা। এটা যুদ্ধের ভয়ংকরতম সপ্তাহ! বৃহস্পতিবার তেল আভিভের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এমনটাই দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
গত ১০ মাস ধরে হামাস নিধনে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েল। গাজার হাসপাতাল, স্কুল, ধর্মীয়স্থান, শরণার্থী শিবির সব জায়গায় হামলা চলছে। ইহুদি দেশটির দাবি, ওই জায়গাগুলোতেই লুকিয়ে রয়েছে হামাস জঙ্গিরা। সেখান থেকেই তারা নানা সন্ত্রাসী কাজকর্ম করছে, সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে। রয়টার্স সূত্রে খবর, এদিন গাজায় ইজরায়েলি সেনার বিমানহানায় প্রাণ গিয়েছে ২৫ জনের। আহতের সংখ্যা বহু। গত তিনদিনে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই সংঘর্ষে।
[আরও পড়ুন: নেপালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, রাস্তা ধসে নদীতে পড়ল বাস, মৃত ৭ ভারতীয়]
এদিকে, গাজায় শান্তির পথ খুঁজতে আরও একদফা বৈঠকে হয়েছে মিশরে। কিন্তু তার নিটফল শূন্যই। কোনও সমাধানই মেলেনি এই বৈঠক থেকে। আমেরিকার মধ্যস্থতায় এই আলোচনায় প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল ইজরায়েল ও হামাস। কিন্তু কোনও পক্ষই একে অপরের দাবি-দাওয়া মেনে নেয়নি। ফলে কবে বন্ধ হবে এই যুদ্ধ? কবে থামবে মৃত্যুমিছিল? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরাই। এখনও পর্যন্ত গাজায় মৃতের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৩৮ হাজার।
উল্লেখ্য, আল-নুসাইরাতের স্কুলে আক্রমণ শানানো নিয়ে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস জানিয়েছে, হামাসের বন্দুকবাজদের টার্গেট করার আগে সাধারণ নাগরিকদের জীবনের ঝুঁকির বিষয়ে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। ওই স্কুলেই লুকিয়ে ছিল জেহাদিরা। সেখান থেকে তারা ইজরায়েলি সেনার ওপর হামলা করত। তবে ওই স্কুলে ঘাঁটি গেড়ে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠনটি। এর আগে উত্তর গাজার শেজাজা অঞ্চলের একটি স্কুলে হামাসের অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশ পেয়েছিল ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।