সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: "আমাদের ভঙ্গিতে সঠিক সময়ে ইরানের থেকে এর সঠিক দাম বুঝে নেব।" আকাশপথে ইরানের (Iran) ক্ষেপণাস্ত্র হানার পরেই এই কথা বললেন ইজরায়েলের মন্ত্রী বেনি গান্তজ। শনিবার রাত থেকে ইজরায়েলে আছড়ে পড়েছে একের পর এক ইরানি মিসাইল। যদিও রবিবার দুপক্ষই আপাতত আক্রমণ থামানোর প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, কিন্তু তার মধ্যেই যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে মধ্য প্রাচ্যে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়। যেখানে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারান। মৃতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের (Israel) ‘হাত’ দেখছে তেহরান। তার পরেই ইজরায়েলকে লাগাতার সতর্কবার্তা দিয়েছে ইরান। অবশেষে শনিবার রাতে ইজরায়েল লক্ষ্য করে একের পর এক মিসাইল ছুড়তে শুরু করে তেহরান। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গুলিতে নিকেশ সরবজিৎ খুনের মূল অভিযুক্ত, নেপথ্যে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী]
যদিও ইরানের (Israel-Iran Conflict) যাবতীয় আক্রমণ প্রতিহত করে ইজরায়েলের আয়রন ডোম। তেহরানকে লক্ষ্য করে এখনও পর্যন্ত কোনও আগ্রাসী পদক্ষেপ করেননি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কারণ ইরানি হামলার পরেই 'বন্ধু' আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তিনি। সেই কথোপকথনের সময়েই বাইডেন সাফ জানিয়ে দেন, ইরানে যদি আক্রমণ করে ইজরায়েল তাহলে সেটা কোনওভাবেই সমর্থন করবে না আমেরিকা। বাইডেন নেতানিয়াহুকে বলেন, ”আপনি জিতে গিয়েছেন। সেই জয়টা নিয়েই থাকুন।” ইরানের তরফেও আমেরিকাকে জানানো হয়, কেবল আত্মরক্ষার জন্যই হামলা চালানো হয়েছে ইজরায়েলের উপর।
তবে ইরানের হামলা নিয়ে আলোচনা করতে যুদ্ধকালীন ক্যাবিনেটের বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। সেখানেই সুর চড়ান ইজরায়েলি মন্ত্রী। গান্তজের হুঁশিয়ারি, "কয়েকটা দেশ নিয়ে আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে হবে। তার পর আমাদের সময় অনুযায়ী, আমাদের মতো করে ইরানের থেকে এই হামলার সঠিক মূল্য বুঝে নেব"। তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বাইডেনের পরামর্শ না মেনে ইরানের উপর পালটা আঘাত হানতে চলেছে ইজরায়েল?