সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন কয়েক আগেই শেষ হয়েছে রক্তক্ষয়ী লড়াই। আরও পাঁচটা আরব-ইহুদি যুদ্ধের মতোই এবারও শেষ হাসি হেসেছে ইজরায়েল (Israel)। তবে সাম্রাজ্যের সংঘর্ষ জিতলেও গদির লড়াইয়ে ঘরেই কোণঠাসা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তুমুল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আগামী রবিবার আস্থাভোট হতে চলেছে ইজরায়েলের পার্লামেন্টে।
[আরও পড়ুন: ‘আমার সুগার ড্যাডি নন মেহুল চোকসি’, বিতর্কে জড়িয়ে সাফাই সুন্দরী বারবারার]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, আগামী রবিবার আস্থাভোট হতে চলেছে ইজরায়েলের পার্লামেন্টে। সেখানেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে নেতানিয়াহু বিরোধী জোটকে। এই বিষয়ে ইজরায়েলী সংসদের স্পিকার তথা নেতানিয়াহুর সমর্থক ইয়ারিভ লেভিন বলেন, “আগামী রবিবার অর্থাৎ ১৩ জুন সংসদের বিশেষ অধিবেশনে নতুন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি হবে।” বিশ্লেষকদের মতে, ওই দিন এক দশকেরও বেশি ক্ষমতায় থাকা নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী পদ খোয়াতে পারেন। পতন হতে পারে দক্ষিণপন্থী ‘লিকুদ পার্টি’র। তবে, এখনই নেতানিয়াহুর কোনও আশা নেই বলাটা যুক্তিসঙ্গত হবে না। কারণ আগামীদিনে নিজের পক্ষে সমর্থন টানার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন এই প্রবীণ ও দুঁদে এই রাজনীতিবিদ। ভুলে গেলে চলবে না, বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজ একসময় নেতানিয়াহুর পাশেই ছিলেন। আরও এক বিরোধী নেতা নফতালি বেনেট দক্ষিণপন্থী হিসেবেই পরিচিত। ফলে শেষমুহূর্তে তাঁরা যদি নেতানিয়াহুর সঙ্গে সমঝোতায় আসতে রাজি হন সেক্ষেত্রে বিরোধীদের সরকার গড়ার কোনও আশা থাকবে না।
উল্লেখ্য, নয়া সরকার গড়তে লাপিদের দল ‘ইয়েশ য়াতিদ’-কে সমর্থন দিয়েছেন ডানপন্থী দল ‘ইয়ামিনা পার্টি’র প্রধান নাফতালি বেনেট। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ এবং বেনজির বিষয় হচ্ছে যে জোট সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে ইজরায়েলে সংখ্যালঘু আরবদের দল ‘ইউনাইটেড আরব লিস্ট’। এছাড়া এই জোটে থাকছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানৎজের দল ‘ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি’। সব মিলিয়ে ইজরায়েলী সংসদ ‘নেসেট’-এ সংখ্যগরিষ্ঠতার দাবি পেশ করেছে বিরোধী ‘মহাজোট’। ফলে নজির গড়ে প্রায় ১২ বছর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী থাকার পর এবার কুরসি হারাতে চলেছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu) । জানা গিয়েছে, নয়া সরকারে প্রধানমন্ত্রীর আসন ভাগ করে নেবেন বেনেট ও লাপিদ। প্রথম প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন বেনেট তার প্রায় দু’বছর বাদে ওই পদে বসবেন লাপিদ। অর্থাৎ, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই জিতলেও দেশে রাজনৈতিক মঞ্চে পর্যুদস্ত হয়েছেন নেতানিয়াহু।