সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ কি অবশেষে থামবে? গাজায় ৫ দিনের সংঘর্ষবিরতির শর্তে কি রাজি ইজরায়েল? ইজরায়েলি ৫০ পণবন্দিকে ফেরাবে হামাস? এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট ঘিরে চড়ছিল প্রত্যাশার পারদ। যদিও সেই সমস্ত প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিলেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলরের মুখপাত্র অ্যাডরিয়েন ওয়াটসন।
দিন কয়েক ধরেই যুদ্ধবিরতির জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল, ইজরায়েল, আমেরিকা ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতা করছিল কাতার। সেই মধ্যস্থতা নাকি সফলও হয়েছে। একদিকে নাকি হামাস ৫০-এর বেশি পণবন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। অন্য়দিকে গাজায় ৫ দিনের যুদ্ধবিরতিতে নাকি রাজি হয়েছে ইজরায়েলও। সেই সমস্ত সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দ মাটি করবে বৃষ্টি? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
নেতানিয়াহু সাফ জানিয়েছেন, কোনও রফাসূত্র মেলেনি। আমাদের সকল পণবন্দিকে আমরা ফেরত চাই। সকলকে সুরক্ষিতভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য় যা করা সম্ভব তাই করছি আমরা। আর এবিষয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ। যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি তিনি। একই বিষয়ে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ওয়াটসন জানান, “এখনও রফাসূত্রে পৌঁছতে পারিনি। তবে সমাধান সূত্রে পৌঁছনোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি।”
বলে রাখা ভালো, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে বুকে হামাসের হামলা চালানোর পর যুদ্ধ ঘোষণা করে দেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাসকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে গাজায় আক্রমণ শুরু করে ইজরায়েলি ফৌজ। সেইসময় সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাসিন্দাদের দক্ষিণে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তেল আভিভ। প্রাণভয়ে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ আশ্রয় নেন দক্ষিণ গাজায়। এবার ইহুদি দেশটির কোপ পড়ল সেখানেও।