সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসে প্রথমবার চাঁদের (Moon) দক্ষিণ মেরুর মাটির নমুনা পরীক্ষা করা হল। ভারতের চন্দ্রযানের অংশ রোভার প্রজ্ঞান (Rover Pragyan) ইতিমধ্যেই চাঁদের মাটিতে কাজ করতে শুরু করেছে। সেই মিশনেই প্রথমবার চন্দ্রপৃষ্ঠের গভীরে ঢুকে মাটির তাপমাত্রা মেপে দেখা হয়েছে। তাপমাত্রার তারতম্য ধরা পড়েছে প্রজ্ঞানের যন্ত্রাংশে। তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইসরো (ISRO)।
রবিবার এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রথমবার রোভার প্রজ্ঞানের সংগৃহীত তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সেখানে বলা হয়েছে, “চাঁদের মাটি পরীক্ষার জন্য ‘চেস্ট’ নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। চাঁদের মাটিতে তাপমাত্রার তারতম্য খতিয়ে দেখাই এর কাজ। চন্দ্রপৃষ্ঠের অন্তত ১০ সেন্টিমিটার গভীরে যেতে পারে এই চেস্ট। চাঁদের মাটিতে অন্তত ১০ রকম তাপমাত্রা খতিয়ে দেখতে পারে রোভার প্রজ্ঞানের এই যন্ত্র।
[আরও পড়ুন: ‘অনিচ্ছার বিয়েতে দুপক্ষেরই কষ্ট’, আপের সঙ্গে জোট প্রস্তাবে ক্ষোভ পাঞ্জাব কংগ্রেসের]
প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, সেই তথ্য বিশ্লেষণ করেছে ইসরো। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। তবে মাটির গভীরে ঢুকলে এই পরিসংখ্যান পালটে যায়। প্রতি ২০ মিলিমিটার গভীরেই আলাদা রকমের তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যায়। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ সেন্টিমিটার গভীরে গেলে তাপমাত্রা কমে দাঁড়ায় মাইনাস ১০ ডিগ্রি।
এই প্রথমবার চন্দ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা নিয়ে এমন বিস্তারিত তথ্য জানা গেল। ইতিহাসে প্রথমবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে উষ্ণতার তারতম্যের পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এল। আগামী দিনে আরও বেশ কিছু তথ্য জানাবে রোভার প্রজ্ঞান, সেটাও ঘোষণা করা হয়েছে ইসরোর তরফে। প্রসঙ্গত, চাঁদের মাটিতে মাত্র একদিন কাজ করতে পারবে রোভার প্রজ্ঞান। কারণ চাঁদের মাটিতে রাত নামলে প্রজ্ঞানের যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চাঁদের একদিনের আয়তন পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান।