সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এবং সবচেয়ে চর্চিত সিরিয়াল কিলার ‘জ্যাক দ্য রিপার’। আজও যার পরিচয় অজ্ঞাত। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে সেই খুনির খোঁজ পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ রাসেল এডওয়ার্ডস। তিনি জানাচ্ছেন, রিপারের বহু শিকারের একজন, ক্যাথরিন এডোয়েস নামে এক মহিলার একটি গায়ের চাদর তিনি সম্প্রতি উদ্ধার করেন। তাতে খুনির রক্ত এবং বীর্য লেগে ছিল। সেই নমুনা পরীক্ষা করেই তিনি ‘জ্যাক দ্য রিপার’ নামে পরিচিত খুনির সন্ধান পেয়েছেন বলে দাবি এডওয়ার্ডস-এর।
ক্যাথরিন এডোয়েস ছিলেন এক পরিবার বিচ্ছিন্ন মহিলা। তিনি দুই পুত্র এবং এক কন্যার মা-ও ছিলেন। তিনি ছিলেন ‘জ্যাক দ্য রিপার’-এর তৃতীয় শিকার। খুনির রক্ত ও বীর্যের ডিএনএ পরীক্ষা করে এডওয়ার্ডস জানতে পেরেছেন যে খুনির নাম আরগন কসমিনস্কি। আরগন ছিল এক পোলিস অভিবাসী। ১৮৬৫ সালে মধ্য পোল্যান্ডের ক্লোডাওয়া এলাকায় তার জন্ম হয়। তার পরিবার ১৮৮০ সাল নাগাদ লন্ডনে চলে আসে। প্রসঙ্গত, ১৩৭ বছর আগে লন্ডনের রাস্তায় বীভৎসভাবে জনা পাঁচেক যৌনকর্মীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ মিলেছিল। নিপুণ হাতে গলার নলি কাটা। প্রায় প্রত্যেকেরই নাড়িভুঁড়ি, কিডনি খুবলে নেওয়া। সে সময় লোকমুখে ‘খুনির’ নাম ছড়িয়ে পড়েছিল– এ কাজ নিশ্চয়ই ‘জ্যাক দ্য রিপারের’!
বছর কয়েক আগে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডগুলি দাবি করে, জ্যাক দ্য রিপারের আসল চেহারা দেখা গিয়েছে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের যে পুলিশকর্তা ওই মামলাগুলির তদন্তে নেমেছিলেন, তাঁর উপহার পাওয়া একটি বেতের লাঠিতেই নাকি খোদাই করা রয়েছে জ্যাক দ্য রিপারের মুখ। যদিও সামলোচকদের পাল্টা দাবি, বিক্রিবাটা বাড়াতেই বেতের লাঠিতে ওই রকম একটি মুখ খোদাই করেছিলেন ফেরিওয়ালারা।
ব্রিটেনের অপরাধ জগতের ইতিহাসে জ্যাক দ্য রিপারের মতো নৃশংস খুনি নাকি দেখা যায়নি। খুনের সংখ্যার থেকেও নৃশংসতায় বহু সিরিয়াল কিলারকে ছাপিয়ে গিয়েছে সে। লন্ডনের ইস্ট এন্ডের বস্তিতে যে সমস্ত যৌনকর্মী থাকতেন, তাঁরাই ছিলেন জ্যাক দ্য রিপারের শিকার। লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় ঘোরাফেরা করা ওই মহিলাদের উপরে নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছিল সে।
