সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এর আগে তাঁর সমালোচনা করার সময় নাম নেননি উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ খনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এবার সরাসরিই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) নাম করতে দেখা গেল রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপকে। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি জানিয়ে দিলেন, তিনি যদি সোনিয়ার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া না দেখান তাহলে তিনি তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হতেন।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি দাবি তুলেছিলেন, চেয়ারম্যানকে তাঁর করা মন্তব্য মুছে দিতে হবে। বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ”যদি লোকসভার কোনও সদস্য বাইরে কোনও কথা বলেন, তবে সেটা নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনা করা যায় না। যদি চেয়ারম্যান মন্তব্য করে থাকেন তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক। এমন কখনও ঘটেনি। যা বলা হয়েছে সেটা সরিয়ে দিতে হবে এবং মুছে দিতে হবে। দয়া করে এটা সরিয়ে দিন।” যদি তা না করা হয়, তাহলে খুব খারাপ দৃষ্টান্ত নিদর্শন স্থাপিত হবে বলেও জানিয়ে দেন খাড়গে। এরপরই ওই প্রসঙ্গে মতামত দেন ধনখড়।
[আরও পড়ুন: শীতের রাতে উদ্ধার পরিত্যক্ত শিশু, বুকের দুধ খাইয়ে সুস্থ করলেন পুলিশ কর্তার স্ত্রী]
ঠিক কী হয়েছিল? আসলে বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ধনখড়। তাঁর এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই সোনিয়া জানিয়েছিলেন, সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিকে দিয়ে এভাবে বিচার বিভাগের উপরে আক্রমণ করাচ্ছে বিজেপি। এই মন্তব্যেরই সমালোচনা করে ধনখড় জানিয়েছেন, সোনিয়ার মন্তব্যে গণতন্ত্রে আস্থাহীনতার ইঙ্গিত রয়েছে। ধনখড়ের কথায়, ”বিচার ব্যবস্থাকে অবৈধ বললে তা গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা।” তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, সংসদের সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়। তিনি সেদিকে জোর দিলেও সোনিয়ার সঙ্গে তাঁর মত কোনও জায়গাতেই মেলে না। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”বিচারব্যবস্থাকে ছোট করা আমার কল্পনাতীত।”
উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুতেই কলেজিয়াম বিতর্কে মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়কে। তিনি বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সংসদ ভবনকে অবজ্ঞা করেছে। আর সংসদকে অবজ্ঞা করা মানে মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা। কারণ সংসদের সিদ্ধান্তে মানুষের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়।