কল্যাণ চন্দ ও শাহজাদ হোসেন: রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেনকে (Jakir Hossain) লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। ঘটনার নিন্দায় সরব অধীর চৌধুরী, আবু তাহের থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়। পর্যাপ্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন প্রত্যেকে।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। এদিন কলকাতা যাচ্ছিলেন মন্ত্রী। রাতে নিমতিতা স্টেশনে থেকে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরার জন্য ২ নম্বর প্লাটফর্মে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম হন মন্ত্রী-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। তড়িঘড়ি তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বর্তমানে দুর্ঘটনায় জখম মন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জাকির হোসেনের চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। বেলা দশটায় তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে। আহত বাকিদেরও চিকিৎসা চলছে। এদিকে বিস্ফোরণের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। বিস্ফোরণ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: ‘রিগিং করতে হলে আমরাই করব’, ভোটের আগে হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর]
বিস্ফোরণের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। বলেন, “আমি অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি, প্রত্যেকের শাস্তি চাই। জাকির তৃণমূলের মধ্যে এক ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব, পরিশ্রম ও বুদ্ধির জোরে একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি, মানুষের বন্ধু, জাকির নিজের পরিচয়ে জিতেছেন ও বিধায়ক হয়েছেন। সততার রাজনীতি তৃণমূল দলের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়! তাই জন্যই এই ঘটনা।” এসপির কাছে ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আবু তাহের। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, “এহেন ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই।” অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব সবমহল। কিন্তু কী কারণে এই হামলা? রাজনৈতিক শত্রুতা নাকি ব্যবসায়ীক? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।