shono
Advertisement

Breaking News

দক্ষিণ চিন সাগরে মহড়ায় ‘ত্রয়ী’, চিনকে চটিয়ে থাকবে কি ভারত?

লালফৌজকে চ্যালেঞ্জ।
Posted: 04:39 PM Aug 18, 2023Updated: 08:25 AM Aug 19, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লালফৌজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দক্ষিণ চিন সাগরে মহড়ায় নামছে ‘ত্রয়ী’। চিনের দাদাগিরি রুখতে এবং মিত্রদেশগুলিকে আশ্বস্ত করতেই এই পদক্ষের করেছে আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

জাপানের সংবাদ সংস্থা Kyodo জানিয়েছে, আগামী বুধবার দক্ষিণ চিন সাগরে নৌ-মহড়া চালাবে আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নৌসেনা। তবে এই মহড়ায় ভারত অংশ নেবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। বলে রাখা ভাল, গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে লাদাখ সীমান্ত। গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সেনা সরালেও দেপসাং সমতলে মজুত লালফৌজ। এই প্রেক্ষাপটে আগস্টে জি-২০ সামিটে মুখোমুখি হবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফলে সীমান্ত সমস্যার সমাধান মিললেও মিলতে পারে হলে ক্ষীণ আশা রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে চিনকে চটিয়ে ফের সীমান্ত অশান্ত করার ঝুঁকি নেবে কি দিল্লি, তা স্পষ্ট নয়।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ২২ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সামরিক মহড়া চালায় তেরোটি দেশ। অস্ট্রেলিয়ার পৌরহিত্যে এর পোশাকি নাম ‘ট্যালিসম্যান সেবার’ বা জাদু তলোয়ার’। অংশ নেয় আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও জাপানের মতো দেশগুলির প্রায় ৩৪ হাজার সেনা। জলে, স্থলে, জঙ্গলে ও আকাশে যুদ্ধের কৌশল ঝালিয়ে নেয় তারা। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ‘দাদগিরি’র মাঝে এই মহড়া বিশেষ বার্তাবহ। ট্যালিসম্যান সেবারে অংশ নিতে ভারতকে একাধিকবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। কিন্তু চিনের গোঁসা হতে পারে ভেবেই নাকি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ভারত।

[আরও পড়ুন: ফিলিপিন্সের নৌকায় হামলা চিনা উপকূলরক্ষী বাহিনীর, দক্ষিণ চিন সাগরে তুঙ্গে উত্তেজনা]

তবে, দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যে লালফৌজের গা-জোয়ারি মেনে নেওয়া হবে না সেই বার্তা দিয়ে মালাবার মহড়ায় অংশ নিচ্ছে নয়াদিল্লি। ১১ আগস্ট থেকে অস্ট্রেলীয় উপকূলে শুরু হয়েছে এই নৌ-মহড়া। চলবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত। উল্লেখ্য, ১৯৯২ থেকে সমুদ্র সুরক্ষার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে আমেরিকার (America) সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়া শুরু করেছিল ভারত। ২০১৫ সালে মালাবার মহড়ায় যুক্ত হয় জাপানের নৌবাহিনীও। অস্ট্রেলিয়া যোগ দেয় ২০২০ সালে। এনিয়ে গোড়া থেকেই সন্দিহান ছিল চিন। তাদের ধারণা, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতেই এই মহড়া করা হয়।

[আরও পড়ুন: দক্ষিণ চিন সাগরে নৌ-মহড়া লালফৌজের, ঘোলা জলে মাছ ধরতে তৎপর চিন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement