সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোট অতীত। বিজেপির সমর্থনে নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। যদিও জেডিইউ নেতার জোটবদল নিয়ে তর্জা অব্যাহত। এর মধ্যে নীতীশের দল দাবি করেছে, কংগ্রেসের জন্যই বিরোধী জোট ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন নীতীশ। তারা আরও জানিয়েছে, কংগ্রেসই ‘ষড়যন্ত্র’ করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দিয়ে ইন্ডিয়া জোটের নেতা হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম ঘোষণা করিয়েছিল। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। নীতীশের দলের এই বক্তব্য ‘মিথ্যাচার’ বলেন তিনি।
রবিবার নীতীশের জোটবদল নিয়ে সাফাই দেন তাঁর দলের নেতা এস কে ত্যাগী। তিনি বলেন, ‘‘শুরু থেকেই ‘ইন্ডিয়া’র নেতৃত্বের দখল রাখতে চেয়েছে কংগ্রেস।” তাঁর আরও দাবি,” জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে ষড়যন্ত্র করে কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম বলিয়ে নেয় তারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছিল।’’ ত্যাগী বুঝিয়ে দিয়েছেন ‘ইন্ডিয়া’র ভিতরে কংগ্রেসের ‘দাদাগিরি’ মানতে না পেরেই জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: লোকসভার জন্য কোমর বাঁধছে বিজেপি, আসরে ২১ কুশীলবের ‘টিম মোদি’]
আরজেডির দাবিকে ‘মিথ্যাচার’ বলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “তাহলে তো বলতে হয় চেয়ারের লোভেই (নীতীশের) দলবদল জোট বদল বারবার। জোটের বড় দল কংগ্রেস। তার নেতাকে সৌজন্য দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সম্মান দিতে চেয়েছেন। তাছাড়া খাড়গে বর্ষীয়ান নেতা। সেই জন্যই তাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদের এত চেয়ারের লোভ তারা তখন ঝেড়ে কাশলেন না কেন?”
পাশাপাশি নীতীশের জোটবদল নিয়ে কুণালের আরও মন্তব্য, “এই বিষয়ে এখনই কিছু বলছে না দল। তবে এমন সুবিধাবাদী রাজনীতিতে মুখোশ খুলে যায়। এতে বিরোধীদের লড়াইয়ে কোনও ফারাক হবে না। বিহারের মানুষ বিজেপি আর তার সঙ্গীদের সমর্থন না করে তেজস্বী যাদবকে সমর্থন করবে।”
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী হিন্দুদের দিয়ে দিন, সমীক্ষা রিপোর্ট পেতেই মুসলিম পক্ষের কাছে দাবি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, লোকসভা ভোটে বাংলায় একাই সবকটি আসনে লড়বে তাঁর দল তৃণমূল। মমতা ‘ইন্ডিয়া’কে ছেড়ে বাংলায় লড়ার কথা বললেও ‘ইন্ডিয়া’ ছাড়ার কথা বলেননি এখনও। নীতীশের ভোলবদলে ইন্ডিয়া জোটে প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, “এখন যাঁরা বিজেপির হাত ধরতে গেলেন, মানুষ তাদের নেবে না। ফলাফল বেরোলেই পরিষ্কার হবে, মানুষ সুবিধাবাদী রাজনীতির দিকে যাবে না। বিজেপি এবং তার শক্তির বিরুদ্ধেই বিহারের মানুষ ভোট দেবে।” আর মাস তিনেকের মধ্যে যাবতীয় দাবি ও পালটা দাবির উত্তর পাবে দেশ।