সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাদা বলের ক্রিকেটে রানের খরা কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। এশিয়া কাপে (টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে) সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি না পেলেও রানের মধ্যে ছিলেন কোহলি। বিশ্বকাপের পরে তিনটি ওয়ানডে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। কিন্তু টেস্টে শতরান আসছে না। সামনে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। অজিদের বিরুদ্ধে চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে ভারতকে। তার আগে অবশ্য বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্টে নেমেছেন কোহলি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর রান যথাক্রমে ১, অপরাজিত ১৯, ২৪ এবং ১। টেস্টে ক্রিকেটে শেষবার সেঞ্চুরি কোহলি করেছিলেন সেই ইডেন গার্ডেন্সে। ২০১৯ সালে পিঙ্ক বল টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পর কোহলি আর পাঁচ দিনের ফরম্যাটে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। এবার অজি বোলারদের বিরুদ্ধে কি চলবে কোহলির ব্যাট?
সিরিজের বল গড়ানোর আগে কিন্তু অজি বোলারদের টিপস দিয়েছেন কিংবদন্তি বোলার জেফ টমসন (Jeff Thomson)। স্যর ভিভ রিচার্ডস, সুনীল গাভাসকরের মতো ব্যাটসম্যানদের অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন অজি কিংবদন্তি। টমসন বলেছেন, ”শুধু বিরাট নয়, এটা সবার ক্ষেত্রেই সমানভাবে প্রযোজ্য। বিরাটকে অস্বস্তিতে ফেলতে হবে। সহজে রান করতে দেওয়া চলবে না। বিরাটের তূণে সবরকমের শট রয়েছে। এই ধরনের ব্যাটাররা সহজে রান তুলতে শুরু করলে তাদের থামানো কঠিন। ওকে ঝুঁকি নিতে বাধ্য করতে হবে। বিরাটকে ওর কমফোর্ট জোন থেকে বের করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ইডেনে দুরমুশ ঝাড়খণ্ড, রনজি ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা]
তবে বলা যতটা সহজ, কাজে করা ততটা কঠিন।কিন্তু টমসনের মতে, ”যাঁরা ভাল বোলার, তাঁরা কোহলির বিরুদ্ধে সুযোগ নেবে। ওকে আটকে রাখবে। এমন ভাবে বল করবে যাতে নিজেই ভুল করে কোহলি। ভিভ রিচার্ডস হোক বা গ্রেগ চ্যাপেল বা সুনীল গাভাসকর–কাউকেই সহজে রান করতে দিতাম না। আমি জানতাম, ওঁদের সুযোগ দেওয়া হলে মাঠের বিভিন্ন জায়গায় শট খেলতে শুরু করে দেবে।”
লড়াইটা যেমন দক্ষতার, তেমনই মানসিকও। টমসন বলছেন, ”ভারতের পিচ ব্যাটিং সহায়ক হয়। ফলে কোহলি যে পিচের সুবিধা নিয়ে ব্যাট করবে, এ কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বোলারদের চেষ্টা করে যেতে হবে। ব্যাটারদের কাজ কঠিন করে তুলতে হবে। বিরাট কোহলি খুবই শক্তিশালী একজন খেলোয়াড়। ওর বিরুদ্ধে বোলারদের আরও বেশি শক্তিশালী হতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে গেলে সব দিক থেকেই কঠিন হতে হয়। ভিভ রিচার্ডসের বিরুদ্ধে মুখোমুখি হতেই সবাই কেঁপে যেত। আমি কাঁপতাম না। আমি জানতাম রিচার্ডস আমাকে আক্রমণের রাস্তা নেবে। কিন্তু গাভাসকর আবার অন্য ধরনের ব্যাটার। গাভাসকর আক্রমণ করবে না। এটায় আমার কাজ আরও কঠিন করে তুলত।”
[আরও পড়ুন: বিশ্বজয় করে ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরলেন, উৎসবে মাতল চুঁচুড়া]